ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার মেয়র আবদুল ওয়াহেদ কবির খান ও সচিব এএইচএম রাশেদ ইকবালের সই জাল করে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে চার লাখ টাকা তোলার সময় দুই জন ধরা পড়েছেন ।
এ ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়া দুই জন হলেন পৌরসভার ক্যাশিয়ার রেখা বেগম ও তার স্বামী পৌরসভার ইলেকট্রিশিয়ান সিরাজুল ইসলাম সেলিম।
এ ঘটনায় পৌর মেয়র সোমবার রাতে নলছিটি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়, তার কার্যায়ের ক্যাশিয়ার কাম ভারপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক রেখা বেগম সোনালী ব্যাংকের একাউন্টের একটি চেকের পাতায় মেয়র ও সচিবের স্বাক্ষর জাল করে মেসার্স সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে চার লাখ টাকার একটি চেক প্রস্তুত করেন।
চেক দিয়ে টাকা তোলার জন্য সোমবার দুপুরে রেখার স্বামী পৌরসভায় ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে কর্মরত সিরাজুল ইসলাম সেলিম এবং সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজের মালিক এবিএম জাহিদুল ইসলাম ব্যাংকে যান।
সোনালী ব্যাংক নলছিটি শাখা ব্যবস্থাপক আনসার আলী খান চেকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেয়রকে মোবাইল ফোনে কল দিলে মেয়র এমন কোনো চেক ব্যাংকে পাঠাননি বলে জানান।
ব্যাংক ম্যানেজার তখন সিরাজ ও জাহিদুলকে বলে দেন চেকটি পরিবর্তন করে আনার জন্য।
তারা চেক পরিবর্তন করতে পৌর কার্যালয়ে ক্যাশিয়ার রেখার কাছে যান। সেখানে রেখা ও সিরাজকে আটকে থানা পুলিশকে খবর দেন মেয়র। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাত ৯ টার দিকে নলছিটি থানায় এ বিষয়ে ৩ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দেন মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ কবির খান।
আসামিরা হলেন রেখা ও তার স্বামী সিরাজ ও জাহিদুল ইসলাম।
নলছিটি পৌরসভার মেয়র নিউজবাংলাকে জানান, মেসার্স সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজ এর নামে চার লাখ টাকার যে চেকটি ব্যাংকে দাখিল করা হয়, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। তার সই জাল করা হয়েছে।
নলছিটি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, মেয়রের এজাহারটি রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।