ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে জেলহাজতে থাকা একই পরিবারের সাত বাংলাদেশিকে মুক্তির জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছে স্বজনরা।
ভারতের জেলে থাকা ওই বাংলাদেশিদের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়ায়।
গত ৬ জুলাই তারা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।জেলে থাকা ওই সাত ব্যক্তির মধ্যে ছয় বছর বয়সী ও চার বছর বয়সী দুই শিশু আছে।
প্রাপ্তবয়স্করা হলেন সোনা মিয়া, তার স্ত্রী শিফাহারী ওরফে শেফালী, তাদের ছেলে মো. হাবিব, নূর নবী ও নূর নবীর স্ত্রী শালিমা বেগম। দিনহাটা ও কুচবিহারের হাজতে তাদের রাখা হয়েছে।তাদের আত্মীয় আশরাফুল আলম জানান, ৫ জুলাই সকালে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ ও কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা জানায়, তাদের পরিবারের সাত সদস্যকে বাংলাদেশের পাথরডুবি সীমান্তের ওপারে ভারতের সাহেবগঞ্জে বিএসএফ আটক করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএসএফ তাদের থানায় হস্তান্তর করেছে।তিনি জানান, ওই পরিবারের সদস্যরা হরিয়ানা রাজ্যের রওয়ারি জেলার নাহারলাখি গ্রামে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। দেশে ফেরার জন্য তারা কুচবিহারের সাহেবগঞ্জ থানার সীমান্তবর্তী খারুবাজ এলাকায় ‘দালাল’ আমিনুল মণ্ডলের বাড়িতে ওঠেন।আমিনুল তাদের এ পারে পার করার জন্য আট হাজার টাকার চুক্তি করেন।৪ জুলাই ভোর ৬টার দিকে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে সাহেবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর তাদের নামে মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিটমহলের এক বাসিন্দা জানান, আটক ব্যক্তিরা ১৫ থেকে ২০ বছর ভারতে আছেন। তারা দালালের মাধ্যমে এ দেশে আসা-যাওয়া করতো। এভাবেই ২০১৬ সালের গণনার সময় এ দেশে এসে নাগরিকত্ব নেয়।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, ওই সাতজনের নাগরিকত্বের বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশি নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।