শর্টফিল্মে অভিনয়ের কথা বলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এনে এক তরুণীকে সংঘদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই তরুণী টিকটক অ্যাপে ভিডিও বানান। ঘটনার পর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখালী এলাকায় রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীর বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গীতে।
সোমবার সকালে তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই তরুনী। সেই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ।
মামলার এজহারে বলা হয়, একটি শর্টফিল্মে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ করে রোববার বিকেলে টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া এলাকায় যেতে বলেন এক যুবক। সেখান থেকে রাতে তাকে রূপগঞ্জের ব্রাহ্মণখালী এলাকায় যেতে বলেন ওই যুবক।
রাত ৮টার দিকে ব্রাহ্মণখালীর এইচআর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেয়ারটেকার জামাল হোসেন তাকে নিতে আসেন। তাকে ওই স্কুলের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে নিয়ে যান ওই কেয়ারটেকার। সেখানে শুটিংয়ের কোনো আলামত দেখতে না পেয়ে তরুণী চলে যেতে চায়। পরে সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি সায়েদ জানান, রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তরুণীকে রাস্তায় ছেড়ে দেন ওই যুবক ও স্কুলের কেয়ারটেকার। ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় আনে। মেয়েটির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়। সোমবার সকালে তরুণীর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার কেয়ারটেকারকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।