প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে আবদুস সালাম মুর্শেদী অনুদান দেন- এমন বক্তব্য দেয়ায় খুলনার তেরখাদা আওয়ামী লীগ সভাপতি এফ এম অহিদুজ্জামান অহিদকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। পাশাপাশি সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাবেক ফুটবলার ও পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য।
২০১৮ সালের নভেম্বরে খুলনার রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া আসনে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাম মুর্শেদী। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি ওই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন।
অহিদুজ্জামানকে সাময়িক বহিষ্কার ও সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে ঈদের আগে একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে।
সে সময় খুলনার তেরখাদা উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এফ এম অহিদুজ্জামান অহিদ। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সালাম মুর্শেদী।
অহিদুজ্জামান বলেন, ‘পিএম দেশের বাইরে গেলে আমাদের এমপি ডোনেশন দেন। খুলনার এমপিরা তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলেন।’
সেই বক্তব্যের সময় সালাম মুর্শেদী কোনো মন্তব্য করেননি, এমনকি পরেও কিছু বলেননি।
খুলনা আওয়ামী লীগ মনে করছে, অহিদুজ্জামানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করা হয়েছে। আর তিনি চুপ থেকে এতে সায় দিয়েছেন।
খুলনা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এম রিয়াজ কচি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যখন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিব্রতকর বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন এমপি মহোদয় চুপ ছিলেন। আগে ও পরে কোনো বিবৃতি দেননি এবং তার বক্তব্য সংশোধন করে দেননি। এ বিষয়গুলো কেন্দ্রে অবহিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ (সোমবার) খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভা ছিল। সভায় তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এফ এম অহিদুজ্জামান অহিদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাকে স্থায়ী কেন বহিষ্কার করা হবে না- এ মর্মে নোটিশ পাঠানো হবে। ১০ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হবে। সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী।
জনাব অধিকারী বলেন, ‘অহিদুজ্জমানের বক্তব্যে আওয়ামী লীগকে ছোট করা হয়েছে, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছোট করা হয়েছে। এ জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করেই আমরা আজকের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এসব বিষয়ে সালাম মুর্শেদী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই দিনের পুরো অনুষ্ঠান ছিল তিন ঘণ্টার মতো। সে অনুষ্ঠানে আমি অনলাইনে তিন থেকে সাড়ে তিন মিনিটের জন্য যুক্ত ছিলাম। তাই অনুষ্ঠানে আমার আগে বা পরে কোন বক্তা কী বলছে তা জানতে পারিনি। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি আকারে আমার বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠিয়েছি।’