বরগুনায় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে ভোট না দেয়ায় গ্রাম ছাড়া করার হুমকির পর পুলিশের উপস্থিতিতে এক ব্যক্তিকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন অসীম চন্দ্র শীল।
বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সোমবার দুপুরে তিনি এ কথা জানান।
লিখিত বক্তব্যে অসীম জানান, তিনি ঢাকার একটি সেলুনে নাপিতের কাজ করেন। তার বাবা নির্মল চন্দ্র শীলের রামনার বৈকালিন বাজারে চায়ের দোকান আছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন চলায় বেশ কয়েক মাস আগে তিনি গ্রামে চলে আসেন।
গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অসীম নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারের প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেন। এরপর থেকেই তিনি অসীমকে পরিবারসহ গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দিতে থাকেন।
এরপর ১৭ জুলাই তিনি বৈকালিন বাজারে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে মো. ফরিদ, মো. বাপ্পি, মো. ফোরকান, মো. ইমরান, রাজু জোমাদ্দারসহ চেয়ারাম্যানের আরও কিছু লোকজন তাকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
স্থানীয় জহিরুল ইসলাম উজ্জ্বল ও ফকরুল ইসলাম কমল তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরও মেরে হাত ভেঙে দেয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপপরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান সেখানে যান।
অসীম আরএন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে ধরে এনে নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার নিজেই লোহার রড দিয়ে তাকে পেটান। এ সময় এসআই ও ওসি সেখান থেকে অল্প কিছু দূরে থাকলেও তারা এগিয়ে আসেননি।
ওইদিনই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন অসীমের বাবার চায়ের দোকানটি ভেঙে দেন।
অসীমের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের ভয়ে তিনি আর চিকিৎসা নিতে পারেননি। মামলা করার সাহসও পাননি।
অসীমকে বাঁচাতে এগিয়ে যাওয়া জহিরুল ইসলাম উজ্জ্বল জানান, নির্বাচনে যারা নজরুলকে সমর্থন দেননি তাদের নির্বাচনের পর খেলা দেখানো হবে বলে হুমকি দিয়েছিল নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন নজরুল। তিনি জানান, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং অসীম ও তার সহযোগীরা চেয়ারম্যানের লোকজনের ওপর হামলা চালালে তাদের থামাতে গিয়ে দুই একজন আহত হয়ে থাকতে পারে। এর বেশি কিছুই নয়।
এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি বশিরুল আলম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। একজন এসআইসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে ছিলেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে।