এবার চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন আরেক প্রসূতিকে। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই ওই প্রসূতি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে সড়কে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ওই প্রসূতির স্বামীর কাছে লকডাউনে বের হওয়ার কারণ জানতে চান ওসি। এ সময় স্ত্রী প্রসব ব্যাথা শুরু হওয়ায় গাড়ি খোঁজ করার কথা জানান তিনি। তখন ওসি নিজের গাড়িতে ওই প্রসূতিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেন। হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করে দেন তিনি।
হেনা বেগম নামের ওই প্রসূতি ডবলমুরিং থানার গায়েবি মসজিদ এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী। রেজাউল করিম পেশায় একজন ভ্যানচালক।
হেনা বেগমের স্বামী রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে আমি বের হয়ে গাড়ি খুঁজতেছিলাম। আমি গরিব মানুষ, ভ্যানগাড়ি চালাই। তাই অ্যাম্বুলেন্স নেয়ার সামর্থ্য নেই। সিএনজি খোঁজছিলাম, লকডাউন হওয়ায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুঁজেও পাইনি। পরে ১২টার দিকে চৌমুহনীতে স্যারেরা আমাকে লকডাউনে কেন বের হইছি জিজ্ঞেস করেন। আমি বলছি ঘটনা। পরে স্যার নিজের গাড়িতে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসছেন। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই আমার স্ত্রী একটা ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আমি সবার কাছে ছেলের জন্য দোয়া চাই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে পুলিশকে ডরাইতাম, এখন তো দেখি বন্ধুর চেয়েও বেশি। যারা এমন বিপদে সাহায্য করে তারা তো শুধু বন্ধু না, রক্তের আত্মীয়ের চেয়েও বেশি।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রেজাউল নামের ওই ভদ্রলোককে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে লকডাউনে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করি৷ পরে তিনি জানান তার স্ত্রী প্রসূতি এবং ওনার প্রসব ব্যাথা শুরু হয়েছে। তখন দেরি না করে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দিই।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার রাতে ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন দিনমজুর ওমর ফারুক শান্তর স্ত্রী কুলসুম বেগম। তাকে কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিনের গাড়িতে করে হাসপাতালে নেয়া হয়।