বগুড়ায় ব্যবসায়ী মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাব ইনস্পেক্টর শওকত হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই অভিযোগে শনিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনকে রাজশাহী রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিক অভিযোগের পর শওকতকে বরখাস্ত এবং আরেকজনকে রাজশাহী পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আসলে দোষ থাকলে এর দায় পুলিশের নয়। ব্যক্তির দায়। আর কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না।’
ঘটনাটি তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরীকে প্রধান করে ‘অনুসন্ধান কমিটি’ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ২৭ মে বগুড়া সদর উপজেলার শিকারপুর এলাকায় মাস্টার বিড়ির ফ্যাক্টরিতে যান অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা।
তারা অভিযোগ তোলেন এই ফ্যাক্টরিতে জাল ব্যান্ডরোল মজুদ রয়েছে। এমন অভিযোগে তারা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে বিষয়টি ২৫ লাখ টাকায় রফা হয়।
ওই রাতে দেয়া হয় ৯ লাখ টাকা। বাকি টাকার জন্য সময় চান বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক। এই টাকার জন্য চাপ দিলে এক সময় জেলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।
এরপর সমীকরণ পাল্টে যায়। আগে নেয়া ৯ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এরপর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘এই ঘটনা অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে। এটি নিয়ে এখন মন্তব্য করার কিছু নেই।’
অভিযোগের সতত্যা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখনো অনুসন্ধানের পর্যায়ে। এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। অনুসন্ধান শেষ হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।’