সরকারি দপ্তরে চাকরি দেয়ার নামে বিভিন্ন জেলার মানুষদের কাছে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে করা ২৪ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত একজন ধরা পড়েছেন পুলিশের কাছে।
রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
তার ব্যক্তির নাম আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার কাওলা গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকার একটি ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর রোববার বিকেলে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়।
তাকে থানায় আনার খবর পেয়ে অন্তত ৪০ জন ভুক্তভোগী সেখানে ভিড় করেন। তাদের কথা শুনে প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে।
থানা পুলিশ বলছে, আব্দুর রাজ্জাক খুবই চতুর একজন মানুষ। তিনি ঢাকা, রাজশাহী ও বগুড়ায় অসংখ্য মানুষকে চাকরি দেয়ার নামসহ বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। এই তিন জেলায় তার বিরুদ্ধে অন্তত ৩০টি মামলার খোঁজ পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তার অভিযানে থাকা বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান জানান, আব্দুর রাজ্জাক ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি এসব প্রতারণা করেন। মামলা হওয়া শুরু হলে ১৮ সাল থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তার বিরুদ্ধে সবগুলো মামলাই চাকরির নামে অর্থ আত্মসাৎ, চেক ডিজঅনারের।
এসআই জাকির বলেন, ‘তিনি খুব ধুর্ত। নিয়মিত মোবাইল ও সিমকার্ড চেঞ্জ করতেন। এ জন্য তার খোঁজ পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে প্রযুক্তির সাহায্যে শনিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘বগুড়া সদর থানায় এক ব্যক্তির নামে এতগুলো ওয়ারেন্টে দেখা যায়নি।’