নিজের ঔরসজাত কি না, এই সন্দেহে ৯ বছরের এক শিশুকে খুন করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন একজন।
তার নাম বাদল মিয়া, আর খুন হওয়া শিশুটির নাম সায়মন। শিশুটি আলমপাড়া বায়তুল ফালাহ মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আনোয়ার সাদাতের আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বাদল।
বাদল মিয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের নদ্দাপাড়ার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন।
২০১২ সালে দেশে ফিরে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামে বিয়ে করেন। ৫ মাস পর তিনি সৌদি আরবে ফিরে যান। দুই মাস তার স্ত্রী সন্তান জন্ম দেন। নাম রাখা হয় সায়মন।
বাদলের মনে সন্দেহ হয় এই ছেলে তার কি না।
এক বছর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। এসে তথ্য পা বিয়ের আগে তার স্ত্রীর সঙ্গে একজনের সম্পর্ক ছিল। এতে তার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
তিনি দেশে ফেরার দুই বছর পর দুই বছর এই দম্পতির আরও একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। আরও দুই বছর পর হয় আরও একটি।
বাদল মিয়া পুলিশকে জানান, শনিবার সকালে সায়মনকে নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে জমিতে ঘাস কাটতে যান। সেখানে তাকে গলা কেটে হত্যা করে তার মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে রাখেন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাদল মিয়া বাড়িতে এসে সায়মনকে খোঁজাখুজি করার ভান করেন। পরে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সায়মনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাদল মিয়াকে থানায় নিয়ে যায়।আদালতের বরাত দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘সন্দেহের বশীভূত হয়ে বাদল মিয়া শিশুটিকে খুন করেছে।
তিনি জানান, জবানবন্দি দেয়ার পর আদালতের নির্দেশে বাদল মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।