বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৎশাশুড়ির মামলায় গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

  •    
  • ২৫ জুলাই, ২০২১ ২২:৪৭

গত ৩ এপ্রিল দুপুরে ছেলের স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান ওই নারী। ওই গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে রাত ২টার দিকে ফোনে তাকে জানানো হয়। পরদিন সকালে বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, সৎ ছেলের পরোকিয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নোয়াখালী সদরে পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগে স্বামী ও সৎ ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। ওই গৃহবধূর দাফনের ৩ মাস ২১ দিন পর আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে রোববার দুপুরে লাশ তোলা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ লাশটি উত্তোলন করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরনবী।

এসআই নুরনবী জানান, সৎ ছেলে মো. সোহাগের স্ত্রী মারজাহান বেগমকে হত্যার অভিযোগে গত ১৬ জুন নোয়াখালীর আমলি আদালতে স্বামী আবদুল খালেক, সৎ ছেলে সোহাগ, রাজু এবং সৎ মেয়ের স্বামী জামাল উদ্দিনকে আসামি করে মামলা করেন রহিমা বেগম।

গত ৩ এপ্রিল রাতে সোহাগের স্ত্রী মারজাহান বেগমকে হত্যার পর বিষপানে আত্মহত্যা প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রহিমা বেগম।

রহিমার দাবি, হত্যার বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় তাকে দুই মাসের বেশি সময় ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, স্বামী, দুই সৎ ছেলে এবং সোহাগের স্ত্রী মারজাহান ও তার তিন শিশু সন্তান নিয়ে রহিমার সংসার। হত্যার কয়েক মাস আগে সোহাগের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী মারজাহানের সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে মারজাহানকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনসহ মেরে ফেলার হুমকি দিতেন সোহাগ।

গত ৩ এপ্রিল দুপুরে মারজাহানকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান রহিমা। মারজাহান বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে রাত ২টার দিকে তাকে ফোনে জানান স্বামী আবদুল খালেক। পরদিন সকালে বাড়ি ফিরে তিনি জানতে পারেন, সোহাগের পরোকিয়া সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় আসামিরা মারজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, মারজাহানের গলা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন দেখতে পান রহিমা।

রহিমার বরাত দিয়ে এসআই নুরনবী জানান, সোহাগ-মারজাহানের সন্তানদের জমি ও টাকা দেয়ার শর্তে স্থানীয়ভাবে মারজাহানের বাবা-মায়ের সঙ্গে সমঝোতা করেন আসামিরা। পরে থানায় খবর না দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়।

গত ৬ জুলাই মামলার আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিরা পলাতক আছেন।

ময়নাতদন্ত শেষে মারজাহানের লাশ মরদেহ রোববার সন্ধ্যায় পুনরায় একই স্থানে দাফন করা হয়েছে বলে জানান এসআই নুরনবী।

এ বিভাগের আরো খবর