চলমান শাটডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে গেলেই দিতে হচ্ছে মামলা, গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
এরপরও থামানো যাচ্ছে না মানুষের বাইরে ঘোরাঘুরি। শাটডাউনের মেয়াদ যত বাড়ছে, তত বাড়ছে রাস্তাঘাটে-হাটবাজারে মানুষের চলাফেরা।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়ায় শুক্রবার ও শনিবার ২৩৮টি মামলা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা।
সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা হয় রাসেল মিয়া, শিহাব হোসেন ও বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে। বন্ধুরা মিলে ঘুরতে বেরিয়েছেন।
রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের পরে সবাই বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে। তাই আমরাও বের হইছি। সারা দিন বাসায় আর এলাকায় থাকতে ভালো লাগে না। পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি দেখলেই পালাই।’
আনোয়ার হোসেন সাঈদ নামের একজন বলেন, ‘জরুরি কাজে ব্যাংকে আসছিলাম। একা আসতে ভালো লাগছিল না। তাই বন্ধুকে নিয়ে আসলাম। কাজও হলো, ঘোরাও হলো।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, ‘শাটডাউনের প্রথমে একটু ভয় থাকলেও এখন আর ভয় নাই। মানুষ আস্তে আস্তে বের হচ্ছে। আজকে যা লোক দেখছেন, কালকে দেখবেন আরও বেশি। আমরাও বের হই, চা-টা খাই।’
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ জানান, যতদিন শাটডাউন চলবে, ততদিন মামলা, জরিমানা চলবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে অটোরিকশাচালকদেরও জরিমানা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘শাটডাউনের উদ্দেশ্য হলো মানুষ যেন বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের না হন। আমরা সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু তারপরও সচেতনতার একটা বিষয় আছে। মানুষকে আগে সচেতন হতে হবে। তা না হলে সংক্রমণ রোধ সম্ভব হবে না।’