সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক তার প্রচারে বাধা ও নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশ প্রচারে বাধা, ভয় দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তার।
রোববার দুপুরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নিজের প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লাঙ্গল প্রতীকের এ প্রার্থী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের লোকজন তার নির্বাচনি প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের দিন কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
পুলিশও একই ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনকে ভোটে নিরুৎসাহিত করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আতিক বলেন, ‘এই অবস্থা চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। ভোটাররা ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন না। আরেকটি ভোটারহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়লাভ করাতে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করবে দাবি করে তিনি বলেন, তবে এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা যায়নি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব নির্বাচনি আচরণবিধি ও শাটডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে প্রচার চালালেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তার।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হুমকি ও ধরপাকড়ের অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘কাউকে ধরপাকড় বা পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে হুমকি দেয়া হয়নি।’
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘হুমকি বা ধরপাকড়ের কোনো অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে কেউ এ রকম অভিযোগ করলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
আগামী ২৮ জুলাই সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচন হবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শফি আহমদ চৌধুরী (কার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনেদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ মার্চ সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এই আসনে হচ্ছে ভোট। এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৯টি।