ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে জড়ো হওয়া রাজধানীমুখী যাত্রীদের ধাওয়া দিয়ে ও লাঠিচার্জ করে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ ও র্যাব। ধাওয়া খেয়ে তিনজন পড়ে যান পানিতে। পরে সাঁতরে তারা তীরে ওঠেন।
ইলিশা ফেরিঘাটে রোববার সকালে গিয়ে এ দৃশ্য ধরা পড়ে সংবাদকর্মীদের ক্যামেরায়।
শাটডাউন ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে এই ঘাটে রোববার সকাল থেকে রাজধানী যেতে ভিড় করেন যাত্রীরা। যে যেভাবে পেরেছেন, ফেরিতে উঠেছেন। পাঁচশরও বেশি যাত্রী সকালে ফেরির অপেক্ষায় ছিলেন।
এ সময় একটি ফেরি তীরে ভিড়লে তাতে হুড়মুড়িয়ে উঠতে থাকেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। তাতেও কাজ না হওয়া এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।
এ সময় নদীতে পরে যান তিনজন। তীরে ওঠার পর তাদের একজনের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। রুবেল হোসেন নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। অফিস থেকে ঈদের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসছি। আজকের মধ্যে ঢাকা না পৌঁছাতে না পারলে আমার চাকরিটা থাকবে না।
‘জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা যাওয়া জন্য রওনা দিয়েছিলাম। র্যাবের ধাওয়া ও যাত্রীদের চাপে নদীতে পরে যাই। এতে আমার প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ভিজে যায়। এখন আমি কীভাবে কী করবো....?’
ঘাটের এই পরিস্থিতির বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, ‘লকডাউনে ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে আমরা বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। ঘাটে ফেরি আসার এক পর্যায়ে যাত্রীরা আমাদের বাধা অতিক্রম করে ফেরিতে উঠতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গতিরোধ করে। যাত্রীদের চাপে ঘাটের গ্যাংওয়ে থেকে তিনজন নদীতে পরে যায়।’
ভোলার প্রশাসক (ডিসি) তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, ‘ভোলার ফেরি ও লঞ্চঘাটে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি টিম, পাশাপাশি র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা ঘাটে অবস্থান করছেন। বিদেশেগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ফেরিতে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ-এর দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। তারাও যাত্রী পারাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।’