দেড় বছরের করোনাকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সময় পার করছে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় ঈদ পুনর্মিলনী করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান দিপু।
তিনি গাজীপুর মহানগরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব।
শনিবার দুপুরে প্যান্ডেল টানিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী নিয়ে ভূরিভোজ করেন দিপু।
লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে গাজীপুরের সড়ক-মহাসড়কে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবির টহল ছিল চোখে পড়ার মতো।
এমন কড়াকড়ির মধ্যেই নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর জমজমাট আয়োজন করেন টঙ্গীর এ আওয়ামী লীগ নেতা।
দুপুর ১টার পর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা তার বাসায় উপস্থিত হন। শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া। এ দৃশ্য ফেসবুকেও লাইভ করেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
গাজীপুর মহানগরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব কামরুল হাসান দিপু। ছবি: সংগৃহীত
লাইভে ওই নেতা বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে কামরুল হাসান দিপু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তার বাসায় এনে ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক জাকির হাসান খোকন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী জুয়েলসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
ওই লাইভে দিপু বলেন, ‘আমি যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হই, যার কর্মচাঞ্চল্যতায় আমি অনুপ্রাণিত হই, সেই প্রিয় নেতা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছি।
‘তার সঙ্গে দীর্ঘ পথচলায় আমি একটা জিনিস শিখেছি, মানুষকে ভালোবাসো, মানুষের পাশে থাকো, মানুষকে সহযোগিতা করো। আজ তারই ধারাবাহিকতায় ঈদ পরবর্তী ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মেয়রের নির্দেশে একত্রিত হয়েছি। আমরা সবাই মিলে এক সঙ্গে দুপুরের আহার করেছি।’
এ দিকে লকডাউন অমান্য করে ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজন করার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে দিপু প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘এরা আমার আত্মীয়স্বজন।’
পরে ফেসবুকে লাইভ ভিডিওর কথা জানালে বলেন, ‘নেতাকর্মীরা এসেছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিজ এলাহি বলেন, ‘আমি চেকপোস্টের ডিউটিতে আছি। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেব।’
টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। তবে সেখানে প্যান্ডেল, কিছু চেয়ার টেবিল ও হাড়ি-পাতিল পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশ আসার আগেই আয়োজকরা অনুষ্ঠান শেষ করেছেন।’