পূর্ণিমার জোর কারণে বরিশাল অঞ্চলে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। কীর্তনখোলা, নয়াভাঙ্গুলী, তেঁতুলিয়াসহ অন্তত ৯টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পাড় উপচে পানি ঢুকে পড়েছে বরিশাল নগরীতে। বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ।
শনিবার সকাল থেকে বরিশালে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, পূর্ণিমার জোর কারণে কীর্তনখোলাসহ এই অঞ্চলের নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার বিকেলে নগরীতে কীর্তনখোলার পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
কীর্তনখোলার পানি বাড়ায় বরিশাল নগরীর রসুলপুর, ভাটিখানা, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, লামছড়িসহ বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নগরীর মূল সড়ক থেকে অলিগলিও পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী এ আই জাবেদ বলেন, শুধু কীর্তনখোলা নয়, বরিশালে নয়াভাঙ্গুলী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার, তেঁতুলিয়ার পানি ৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার, সুরমা-মেঘনার মিলিত প্রবাহে পানি ৪ দশমিক শূন্য ৮, কচা নদীর পানি ২ দশমিক ৭৫, বিষখালীর পানি ২ দশমিক ৮১, বুড়িশ্বর-পায়রা নদীর মিলিত প্রবাহের পানি ৩ দশমিক শূন্য ৫ এবং বরগুনায় বিষখালীর পানি বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।