ঈদ পরবর্তী ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ভোলার ইলিশা লঞ্চ ও ফেরিঘাটে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ফেরিঘাট থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আট শতাধিক যাত্রীকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই ঘাটে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতেমা চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় জরুরি প্রয়োজন ও বিদেশগামী যাত্রী ছাড়া ইলিশা ফেরিঘাট থেকে কাউকে পারাপার হতে দেয়া হয়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে রোগী, বিদেশগামী যাত্রী ও মুভমেন্ট পাশধারীদের নিয়ে শনিবার দুপুরে কুসুম কলি ফেরিটি লক্ষীপুরের মজুচৌধুরী ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ভোলার কমরউদ্দিন থেকে ইলিশা ফেরিঘাটে আসা ঢাকার যাত্রী জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। হঠাৎ শরীর খারাপ হয়ে যায়। তাই লকডাউনের আগে ঢাকা যেতে পারি নাই। অফিস থেকে দুই দিন বাড়তি ছুটি নিয়েছিলাম।
‘এখন অফিস থেকে ফোন দিছে কালকের মধ্যে না যেতে পারলে চাকরিটা থাকবে না। এখন পুলিশ ভাইরা ফেরিতে উঠতে দিতেছে না।’
আরেক যাত্রী মো. সোহেব ভোলা থেকে কুমিল্লা যাবেন।
তিনি বলেন, ‘ছুটি শেষ, এখন কাজে না গেলে চাকরি চলে যাবে। ফেরিঘাটে র্যাব, কোস্টগার্ড সদস্যরা ফেরিতেই উঠতে দেন নাই।’
জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ভোলার ফেরি ও লঞ্চঘাটে র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেয়া আছে। তারাও যাত্রী পারাপার রোধে কঠোর অবস্থানে আছেন।