সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরি আবহাওয়ায় ইলিশ আহরণে যেতে পারেননি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার জেলেরা।
লাখ লাখ টাকা খরচ করে ট্রলার, জাল ও রসদ সংগ্রহ করলেও ঘাটেই অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের।
শুক্রবার ৬৫ দিনের ওই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। সব প্রস্তুতি শেষে সকালেই জেলেদের সাগরে যাওয়ার কথা। তবে লঘুচাপের কারণে সাগরে যেতে পারেননি তারা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের দেয়া লকডাউন এবং মাছ ধরায় দুই মাসের দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞায় এমনিতে জেলেদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই এমন পরিস্থিতিতে লাখ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে হতাশ হয়ে পড়ছেন তারা।
জেলেরা জানান, শুক্রবার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও লঘুচাপের কারণে ইলিশ আহরণে যেতে পারেননি শরণখোলা উপজেলার জেলেরা। সব প্রস্তুতি নেয়া হলেও ঘাটেই থাকতে হচ্ছে তাদের। শরণখোলার মৎস অবতরণ কেন্দ্রসহ উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করে আছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের জামাল শেখ, মোস্তফা শেখসহ একাধিক জেলে জানান, জাল-ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাওয়ার উপযোগী করতে একজন ট্রলার মালিক দুই-তিন লাখ টাকা করে খরচ করেছেন। আর জ্বালানি, খাবারসহ অন্য রসদ কেনার জন্য জেলে ও মাঝিদের ১০-২৫ হাজার টাকা অগ্রিম ঋণ নিতে হয়েছে।
তারা আরও জানান, এসব টাকার বেশিরভাগই মহাজনদের কাছ থেকে দাদন ও সুদে নিয়েছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে সাগরে যেতে না পারায় তাদের অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়ছে।
বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘অবরোধ শেষে অনেক আশা নিয়ে সাগরে রওনা হবেন জেলেরা, কিন্তু বৈরি আবহাওয়া তাদের সবকিছু মাটি করে দিয়েছে। সময়মতো সাগরে জাল ফেলতে না পারলে প্রত্যেক ট্রলার মালিককে লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে।’