প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর যৌনপল্লিতে বিক্রির হুমকির অভিযোগে রাজবাড়ীর পাংশা থেকে দুর্জয় নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সরিষা ইউনিয়নের পিড়ালীপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) সোহেল রানা।
তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সন্ধ্যায় এক কিশোরীকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এলাকা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দিলে তাকে দৌলতদিয়া ঘাটে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।’
এআইজি সোহেল রানা জানান, অপহরণের ঘটনার পর বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস উইংসে এমন একটি বার্তা পাঠিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। বার্তা পেয়েই মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল আকন্দকে দ্রুততম সময়ে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
তিনি বলেন, ‘মুক্তাগাছা থানার ওসি প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারেন মেয়েটি রাজবাড়ীর পাংশা এলাকায় আছে। তাৎক্ষণিকভাবে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস উইং পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে নির্দেশনা দেয় মুক্তাগাছার ওসির সঙ্গে সমন্বয় করে অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করতে।’
এআইজি সোহেল রানা বলেন, ‘কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য পাংশা থানার ওসি এসআই মাসুদুর রহমান ও এসআই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দুটি টিমকে নিয়োজিত করেন। সংশ্লিষ্ট জেলা দুটির সাইবার ও ডিবি টিমসহ পুলিশের একাধিক টিমের প্রচেষ্টায় কিশোরীকে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর পাংশার সরিষা ইউনিয়নের পিড়ালীপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী হিসেবে চিহ্নিত দুর্জয়কে আটক করেছে পুলিশ।’
এআইজি সোহেল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক মাস আগে অনলাইনে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুর্জয়ের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে দুর্জয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায় সে। দুর্জয় মেয়েটিকে প্রথমে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে তার নানাবাড়িতে রেখে আসে।
তিনি বলেন, ‘মেয়েটি বলছে, দুর্জয়কে সে ভালোবাসে এবং তার সঙ্গেই থাকতে চায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্জয়ের দিকের কেউ বা এলাকার কোনো দুষ্টচক্র কোনোভাবে মেয়েটির পরিবারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে দুর্জয় ও মেয়েটির পরিবারের দুর্বলতার সুযোগে কিছু সুবিধা আদায় করতে চেয়েছিল।’
এইআইজি সোহেল জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের খুঁজে বের করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।