সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরতে যেতে পারেনি চট্টগ্রামের বেশির ভাগ মাছ ধরার ট্রলার। সাগরপাড়ে অপেক্ষায় হাজার হাজার জেলে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার সকালে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে নির্দেশ দিয়েছে।
চট্টগ্রাম সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যশিল্প সমবায় সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ শিকারে যেতে প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলেরা। চট্টগ্রামের নতুন ফিসারিঘাটে ২২০টি এবং পুরোনো ফিসারিঘাটে ৬৮টি আড়তেও নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২৫ হাজার ৬৭৫ জন জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরেই আছেন ৩ হাজার জেলে।
সাগরে যাওয়ার জন্য নগরের ফিসারিঘাটে অপেক্ষা করছেন এমভি মোহছেন আউলিয়া ট্রলারের মাঝি মো. আলম।
তিনি বলেন, ‘সিগন্যাল ওঠার কারণে আমরা সাগরে যাইতে পারছি না। বহুত দিন অভাব-অনটনে আছি। ভাবছি নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলে মাছ ধরমু। কিন্তু এহন যাইতেই পারছি না।’
সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যশিল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকার বলেন, ‘মাছ ধরার কোনো ট্রলার সাগরে যেতে পারছে না। হাজার হাজার জেলে সাগরপাড়ে বসে আছেন।
‘তবে কিছু জেলে গভীর সাগরে না গেলেও তীরবর্তী এলাকায় ট্রলার নিয়ে মাছ ধরছেন। আবহাওয়া কিছুটা ভালো হলেই গভীর সমুদ্রে ছুটবেন তারা।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী জানান, নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে জেলেরা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত চলছে। মৎস্য শিকারে সমুদ্রগামী সব নৌযানকে সাবধানে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে।
এর আগে সাগরে মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সকল প্রজাতির মাছ ধরায় গত ১৯ মে মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।