আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত শহীদ ফকির নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পরমেশ্বরদী কাটাখাল এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সন্ধ্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
৪৭ বছর বয়সী শহীদ ফকির পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের ছেলে। তিনি কৃষক ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মুকুল মিনারের সঙ্গে ময়েনদিয়া এলাকার মান্নান মাতুব্বরের পূর্ব শত্রুতা ছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫-২০টি বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত শহীদ ফকিরকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নিলে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
অন্য আহতদের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনাদি রঞ্জন মন্ডল বলেন, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে শহীদ ফকিরের পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। তার পেটেও ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল।
বোয়ালমারী থানার ওসি নুরুল আলম জানান, সকালে পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুকুল মিনার এবং ময়েনদিয়া বাজারের মান্নান মাতুব্বরের গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েক জন আহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাটাখাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।