পিরোজপুরের কাউখালীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিতে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় শাকিল হোসেন নামের একজনকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী আমিন বিকেলে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কিশোরীর বাবা পাঁচ জনের নামে কাউখালী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করেছেন।
মামলায় বলা হয়, কাউখালী উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে স্থানীয় সজিব খান, মো. সাকিল, আকাশ মীর, ফয়সাল ও আরাফাতসহ কয়েকজন উত্ত্যক্ত করতেন । গত ১৬ জুলাই স্কুলছাত্রীকে স্থানীয় হাবিব মীরের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান তারা। সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা হয়।
পরে তাকে মোবাইল ফোনে নানা কুপ্রস্তাব দেন তারা। ধর্ষণের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, বখাটেদের হুমকিতে স্কুলছাত্রী ভয় পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশিরা টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেয়া হয়। ১৭ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি বনী আমিন জানান, কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।