বরগুনার তালতলীতে ঘরের পাশ থেকে মো. জাহাঙ্গীর নামের এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে এসে হত্যার হুমকি দেন স্থানীয় এক আড়তদার ও তার স্বজনরা।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. জহির নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জাহাঙ্গীরের বাড়ি তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামেই। আটক মো. জহির একই গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া।
জাহাঙ্গীরের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীরের বড় ছেলে মো. আলিম স্থানীয় আড়তদার মো. জহিরের কাছ থেকে দাদন নিয়ে নৌকা-জাল তৈরি করে মাছ ধরে আসছিলেন। নদীতে মাছ না থাকায় তিনি জহিরকে দশ হাজার টাকা এবং নৌকা ও জাল বাবদ ৭০ হাজার টাকা দেন।
আরও ১০ হাজার টাকা পাওনা বলে দাবি করেন জহির। ওই টাকা আদায়ের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে জহির তার বড় ভাই আব্দুল হাই, ভাতিজা ফিরোজ, মোহাম্মদ এবং ভাতিজির স্বামী ফোরকানসহ কয়েকজনকে নিয়ে জাহাঙ্গিরের বাড়িতে যান। তারা জাহাঙ্গীর ও আলিমকে গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় রাতেই তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জাহাঙ্গীর।
পুলিশ আরও জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান জাহাঙ্গীর। শুক্রবার সকালে ঘরের পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা।
তালতলী থানার ওসি কামরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক সুরতহালে জাহাঙ্গীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আড়তদার জহিরকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি কামরুজ্জামান।