করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদুল আজহার ছুটি-পরবর্তী ‘সবচেয়ে কঠোর’ লকডাউনের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম নগরীতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। তবে গ্রামাঞ্চলে বিরাজ করছে ঢিলেঢালা পরিস্থিতি।
শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাজারে ওষুধের দোকান ছাড়াও অন্য দোকান খোলা ছিল। গ্রামীণ সড়কে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটারসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলতে দেখা গেছে। হাটবাজারে মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক কম।
কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নগরীর সড়কে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকালে অক্সিজেন, মুরাদপুর, জিইসি, দুই নম্বর গেইট, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন সড়কে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া আর কোনো যানবাহন দেখা যায়নি। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে সেনাসদস্যদের।
চট্টগ্রাম নগরীতে নেমেছেন জেলা প্রশাসনের ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দুই শিফটে তারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দুই শিফটে ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউন বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছেন। নগরজুড়ে তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। সড়কে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য গাড়ি চলতে দেয়া হচ্ছে না।’
ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নের বাসিন্দা নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘বাজারে তেমন মানুষ নাই। তবে অনেক দোকান খোলা। কিছু কিছু সিএনজি চলাচল করলেও ভাড়া বেশি। প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি।’
বাঁশখালীর বহরছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জসিম বলেন, ‘লকডাউন অনেকে মানতেছে না। দোকানপাট খোলা। বাজারে অনেক মানুষ আছে।’