বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিরামের টিকা আসবে কবে, এখনও জানেন না দোরাইস্বামী

  •    
  • ২৩ জুলাই, ২০২১ ১৭:৫৭

‘ভারতে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। ভারতে করোনার টিকার জোগান পর্যাপ্ত থাকলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট তারিখ নেই।’

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশের কেনা করোনার টিকা কবে আসবে, সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

সাংবাদিকদের এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা থাকার পরই বাংলাদেশকে সরবরাহ করা হবে।

শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দোরাইস্বামী।

তিনি বলেন, ‘ভারতে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। ভারতে করোনার টিকার জোগান পর্যাপ্ত থাকলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট তারিখ নেই।’

দেশটি থেকে বাংলাদেশ টিকা কিনেছে ৩ কোটি ৪০ লাখ। এ জন্য অর্থ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি। কিন্তু টিকা এসেছে ৭০ লাখ।

গত জানুয়ারিতে প্রথম চালানে সিরাম পাঠায় ৫০ লাখ। এরপর প্রতি মাসে আসার কথা ছিল সমপরিমাণ। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ২০ লাখ পাঠানোর পর সে দেশের সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর পাঠাতে পারেনি সিরাম।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যর কারণে ভারতেই টিকার চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্সকেও টিকা দিতে পারেনি সিরাম। অন্য দেশেও রপ্তানি স্থগিত আছে।

সিরাম থেকে প্রতিশ্রুত টিকা না পেয়ে বাংলাদেশ পরে চীন থেকে টিকা কিনে আনছে। রাশিয়ার সঙ্গেও চুক্তির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি কোভ্যাক্স থেকে সিরামের বদলে ফাইজার, মডার্নার টিকা আসছে।

তবে সিরামে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও বাংলাদেশের লাগবে। যদিও সেই টিকা কবে আসবে, সেটি সিরামের লোকাল এজেন্ট বেক্সিমকো ফার্মাও জানাতে পারছে না।

ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সিরাম এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আগস্টের আগে অন্য দেশকে টিকা দেয়া যাবে না। জুলাই শেষ হতে চলায় আগস্টে টিকা পাওয়া যাবে কি না, এই প্রশ্ন তাই বড় হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিবেশী বন্ধুদেশ উল্লেখ করে ভারতের দূত বলেন, ‘করোনার মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। একইভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো থাকলে মহামারির মধ্যেও দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্য অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে।’

দোরাইস্বামী দুই দেশের শূন্যরেখায় পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার ও স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

এ সময় হাইকমিশনারের সঙ্গে তার স্ত্রী সঙ্গীতা দোরাইস্বামী ও স্বজনরা ছিলেন।

ভারতীয় দূত গত ১৮ জুলাই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিজ দেশে যান।

এ বিভাগের আরো খবর