করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। চারদিকে কেবল অসুস্থতা আর মৃত্যুর খবর। এ অবস্থায় উদযাপিত হচ্ছে আরেকটি ঈদ। ঈদ কাল শেষ হলেও এখনও রয়ে গেছে উৎসবের আমেজ।
বিধিনিষেধ শিথিল যদিও, তবু বন্ধ পর্যটনকেন্দ্রগুলো। সমাগমেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে এবারের ঈদও কাটছে অনেকটা ঘরবন্দি অবস্থায়।
তবে এমন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে পর্যটকদের ভিড়।
শুক্রবার থেকে আবার শুরু হচ্ছে শাটডাউন। এবারের শাটডাউন আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
কঠোর শাটডাউন শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটনকেন্দ্রে আসা সকলে স্থানীয়। এবার বাইরে থেকে কেউ আসেননি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের অদূরের লাক্কাতুরা চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের ভিড়। নানা বয়সের নারী-পুরুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাগানে।
নগরের শিবগঞ্জ এলাকার শামসুল ইসলাম স্ত্রী নিয়ে এসেছেন চা বাগানে।
তিনি বলেন, ‘কাইল থাকি আবার লকডাউন। ঘর থাকি বারাইতে পারতাম নায়। এর লাগি আইজকা ফ্যামিলি লইয়া বারওইছি। একটু ঘুরাঘুরি করিয়া যাইমুগি।’
তিন বান্ধবী নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তামান্না ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না। অনেক দিন ঘরে বসে হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই বান্ধবীদের নিয়ে একটু ঘুরতে এসেছি।’
সিলেটের বাইশটিলাতে গিয়েও দেখা যায় পর্যটকদের ভিড়। হাওরে নৌকায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।
এখানে ঘুরতে আসা নগরের কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা তানভির ইসলাম বলেন, ‘কাল থেকে আবার ঘরে থাকতে হবে। তাই পরিবার নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘুরে বেড়াচ্ছি।’
সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়েও বৃহস্পতিবার পর্যটকদের ভিড় ছিল।
পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় থাকলেও ফাঁকা সিলেটের হোটেলগুলো।
সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকার হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মলয় দত্ত মিষ্টু বলেন, ঈদের সময়ে অন্যান্য বছর হোটেলের কোনো কক্ষ খালি থাকে না। অথচ এবার হোটেল বন্ধ। কোনো অতিথি নেই।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ। তবু স্থানীয় কিছু দর্শনার্থী আজ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছিলেন। আমরা তাদের নিরুৎসাহিত করেছি।’