বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফুচকার দোকানে বিনোদন পিপাসুদের ভিড়

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২২ জুলাই, ২০২১ ২২:৪৫

‘করোনার কারণে দীর্ঘ দিন আমাদের রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল। আগে বনমালা-হায়দারাবাদ রাস্তাটিও নির্মাণকাজের জন্য বন্ধ ছিল। তখন মানুষের উপস্থিতি না থাকায় আমাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এবার ঈদে কিছুটা হলেও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব বলে মনে করছি।’

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরের টঙ্গীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোররা দলবেঁধে ছুটে গিয়েছেন বিনোদন কেন্দ্রে।

টঙ্গীর বনমালা-হায়দারাবাদ রোড, সাতাইশ গুটিয়া, নদী বন্দর পার্ক, মারুকা ঘাট কেন্দ্রগুলো ছিল জমজমাট। তবে বেশিরভাগ দর্শনার্থীকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গীর বনমালা রেললাইন সংলগ্ন হায়দারাবাদ সড়কে সরেজমিনে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড়। পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে ঘুরতে এসেছেন বিনোদন পিপাসুরা। বনমালা রেললাইনের ধারে বসানো হয়েছে ২০-৩০টি চটপটি-ফুচকার দোকান। খেলনা ও বেলুন নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। শিশুদের নিয়ে সেখানে বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় করেছেন।

ফুচকার দোকানি খবির বলেন, ঈদের দিন লোকসমাগম কম ছিল। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছে। তাদেরকে জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। ভালো বেচাকেনাও হয়েছে।

শুক্রবার থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় আজকে অনেকেই বাসা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন।

কুয়েত প্রবাসী শিমুল ও মো. সোহাগ গিয়েছিলেন সেখানে ঘুরতে। তারা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরে কোথাও যেতে পারিনি। দীর্ঘ দিন ধরে ঘরবন্দি থেকে তারা হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি ঈদের দ্বিতীয় দিনে। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বলে জানালেন তারা।

স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বনমালা-হায়দারাবাদ সড়কে ঘুরতে এসেছেন ফিরোজ আলম।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘুরতে এসেছি মুখে মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কিন্তু এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই মাস্ক পরছে না, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।’

স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন আসাদ খান। তিনি বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি ও ব্যবসা করি। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় পাই না। তাই ঈদের ছুটিতে ঘুরতে এসেছি। রেললাইনের পাশে নতুন সড়কে ঘোরাঘুরি ও ফুচকার দোকানে অনেক ভালো সময় পার করেছি।’

দ্য সিটি ইন্ড রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার-বি কিউ এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. মানিক বলেন, ‘ঈদের দ্বিতীয় দিনে অনেক মানুষ ঘুরতে আসছে। এখানে বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, চটপটি-ফুচকার দোকান-রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা আছে। আমরা মাস্ক পরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে উৎসাহিত করছি। কিন্তু সবাই যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে, এটা বলা যায় না।

‘করোনার কারণে দীর্ঘ দিন আমাদের রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল। আগে বনমালা-হায়দারাবাদ রাস্তাটিও নির্মাণকাজের জন্য বন্ধ ছিল। তখন মানুষের উপস্থিতি না থাকায় আমাদের অনেক লোকসান হয়েছে। এবার ঈদে কিছুটা হলেও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব বলে মনে করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর