ঈদের ছুটিতে বরিশালের ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ঘুরতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বের হয়েছিলেন লাবু আহম্মেদ। তবে পুলিশের কড়াকড়িতে বিনোদন কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি তারা।
এ রকম অসংখ্য মানুষ কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে আসতে পারেনি ঈদের ছুটিতে। পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু মানুষ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার ঈদের প্রথম এবং বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। কোনো বিনোদন কেন্দ্রেই জমায়েত হতে পারেনি মানুষ।
কীর্তনখোলার তীরে যাওয়ার দুটি পথেই পুলিশ অবস্থান নেয়। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঢোকার সব পথও বন্ধ করে দেয় পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া অন্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও কাউকে ভিড়তে দেয়া হয়নি করোনা সংক্রমণ রোধে।
পাশাপাশি বরিশাল নগরীর প্লানেট ওয়ার্ল্ডসহ সবকটি পার্কই বন্ধ রাখা হয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী।
নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিবার ঘোষণা দিয়েও মানুষকে আটকানো যায়নি। তাই এবারের ঈদে ছোট সরু পথ থেকে শুরু করে বড় রাস্তা অর্থাৎ যে পথ দিয়েই বিনোদন কেন্দ্রে প্রবেশ করা যায়, সেই সব পথ আটকে দেয়া হয়েছে।
সতর্ক করে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। বুধবার অনেক মানুষ এসেছে বিকালের পর। আর আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জনসমাগম সৃষ্টি হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান নিউজবাংলাকে বলেন, বরিশাল বিভাগে প্রতিদিন যে পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্ত হয় তার মধ্যে সব থেকে বেশি বরিশাল নগরীতে। বরিশাল নগরীকে রেড জোন বা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে গণজমায়েত হলে করোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। তাই ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বাসায় স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য বলা হচ্ছে।