বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামালপুর থেকে ঢাকায় ফেরায় আগ্রহ কম

  •    
  • ২২ জুলাই, ২০২১ ১৭:২০

‘একে তো গার্মেন্টস বন্ধ। অন্যদিকে অধিকাংশই লোকই প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। এর জন্য যাত্রীর চাপ খুবই কম। বাসের তেলের খরচই উঠছে না ঠিকমতো। আশা করছি সন্ধ্যার দিকে যাত্রীর কিছুটা চাপ দেখা যেতে পারে।’

শুক্রবার ভোর থেকে আবার শাটডাউন শুরু হবে বলে ঈদের পর দিনই বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখি যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও ব্যতিক্রম জামালপুর। বেশ কিছু জেলায় বাস-লঞ্চে টিকিট না পেয়ে যাত্রীরা তিন চাকার ধীর গতির গাড়িতে চেপেছেন। তবে জামালপুরে যাত্রীর জন্য ডাকাডাকি চলছে বাসে।

শুক্রবার ভোর থেকে আর ঢাকায় ঢোকা যাবে না বলে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীমুখি গাড়ির চাপ ব্যাপক।

তবে সকালে জামালপুরের আন্তজেলা বাস টার্মিনাল ও রাজিব কাউন্টারে গিয়ে প্রায় লোকশূন্য দেখা যায়। সারি সারি বাস দাড়িয়ে থাকলেও যাত্রীর তেমন ভিড় দেখা যায়নি। প্রায় অর্ধেক খালি অবস্থায় কাউন্টার থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বাস।

আন্তজেলা বাস টার্মিনালের (টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড) কাউন্টার মাস্টার হাবিুর রহমান অপল নিউজ বালাকে বলেন, ‘সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সাতটা বাস মহাখালীর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বেশির ভাগই ফাঁকা। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই সিটে একজনকে বসায়ে নিয়ে যাইতাছি। টাঙ্গাইল বাস স্ট্যান্ড থেকে মহাখালী পর্যন্ত ৫০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে সারা দেশেই মানুষের অবাধ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার, যা এবার পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন নামে। তবে ঢাকার সঙ্গে যোগযোগ আরও আগে থেকেই বন্ধ ছিল গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায়।

এই পরিস্থিতিতে এবার ঈদে বাড়ি যাওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে সরকার হঠাৎ করেই ১৫ জুলাই থেকে আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে। চালু হয় গণপরিবহন।

সে সময় জানিয়ে দেয়া হয়, ২৩ জুলাই থেকে আবার বন্ধ হয়ে যাবে মানুষের চলাচল, বিপণিবিতান, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর আগে ২০২০ সালের সাধারণ ছুটি ও গত এপ্রিল থেকে লকডাউন ও ১ জুলাই থেকে শাটডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ না থাকলেও এবার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়।

অর্থাৎ ঈদে বাড়ি গেলে উৎসবের পর দিনই ফিরতে হবে, এটা জানিয়ে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ২৭ জুলাই ভোর পর্যন্ত শিথিল থাকবে বিধিনিষেধ। আর সেই গুজবে আস্থা রেখে এখন ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ।

জামালপুর থেকে ঢাকামুখি যাত্রায় উল্টোচিত্র নিয়ে মোল্লা ট্রাভেলস এর স্বত্ত্বাধিকারী রিফাত মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একে তো গার্মেন্টস বন্ধ। অন্যদিকে অধিকাংশই লোকই প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। এর জন্য যাত্রীর চাপ খুবই কম। বাসের তেলের খরচই উঠছে না ঠিকমতো। আশা করছি সন্ধ্যার দিকে যাত্রীর কিছুটা চাপ দেখা যেতে পারে।’

আন্তজেলা বাস টার্মিনাল (টাঙ্গাইল বাস স্ট্যান্ড) পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মতি বলেন, ‘এই স্ট্যান্ডে কমপক্ষে ১০০ বাস এখনও আছে। সেই তুলনায় যাত্রী খুবই কম, নেই বললেই চলে।

‘আমরা আশা করছিলাম যাত্রীর চাপ অনেক হবে। আমাদের বাসগুলো মহাখালীর উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যে যাত্রীগুলো আসছে তারা অধিকাংশই মধুপুর, টাঙ্গাইলের যাত্রী। এর জন্য আমাদের কিছুটা লোকসান হচ্ছে। দেখি সন্ধ্যায় কী হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর