মহামারিতেও ঘরে বসে নেই ঝালকাঠির সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। ঈদের দিনে তারা করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে। কেউ কেউ ঈদের নামাজ আদায় করতেও পারেনি। কেউ আবার দুপুরে খেতে পারেনি স্বজনদের বাড়িতে।
স্বপ্নপূরণ সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি রিয়াজ খান বলেন, ‘ঈদগাহে নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক তখনই শহিদুল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন ফোন দিয়ে জানায় অক্সিজেন লাগবে। যে অবস্থায় ছিলাম সেই অবস্থায় সিলিন্ডার নিয়ে বিকনা গাজীবাড়ি চলে গেলাম।’
সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন সোসাইটির (ইয়াস) সভাপতি শাকিল হাওলাদার রনি বলেন, ‘ঈদের আগের রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্টার বাহাউদ্দিন গোলাপ আমাদেরকে ফোন দিয়ে জানান, রাজাপুর উপজেলার আলগী গ্রামে সকালেই কোভিড আক্রান্ত এক রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট লাগবে। আমি অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ আমাদের সংগঠনের উপদেষ্টা হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের দিন সকালে রওনা হই।’
ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম অক্সিজেন জোনের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, ‘ঈদের দিন দুপুরে আত্মীয়ের বাড়ি দাওয়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখনই ফোন আসে রোগীর বাড়ি থেকে। দ্রুত আমি আমার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রায়হানকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে সিলিন্ডার তুলে পাশ্ববর্তী উপজেলা রাজাপুরের বাইপাস এলাকায় গিয়ে রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে আসি।
সংযোগ মেডিক্যাল টিমের মেহেদী আকন বলেন, ‘ ঈদের দিন বিকেল সাড়ে চারটায় পার্কে ঘুরতে রওনা হয়েছি, ঠিক তখন ফোন আসে সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিট থেকে। জানায় সেখানে আমাদের দেয়া অক্সিজেন পাইপ লিক করেছে। দ্রুত আমরা (সংযোগ টিম) আরেকটি সিলিন্ডার নিয়ে হাসপাতালে চলে যাই।
হৃদয়ে ঝালকাঠি সংগঠনের সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন, ঈদের নামাজের পর আমাদেরকে খবর দেয়া হয় ঝালকাঠির স্বনামধন্য চিকিৎসক বজলুর রহমানের অক্সিজেন প্রয়োজন। আমরা সংগঠনের কর্মীদের দ্রুত সেখানে সিলিন্ডার দিয়ে পাঠাই।
ঝালকাঠিতে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে স্থানীয় বেশ কয়েকটা স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন রোগীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীকে প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করছে।