বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবারের দাবি আত্মহত্যা, পুলিশ বলছে হত্যা

  •    
  • ২২ জুলাই, ২০২১ ০১:২৫

নিহত মিলির মেয়ে তিনি বলেন, ‘জেনে শুনে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইনি। তাই এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি আমার পরিবার। তবে পুলিশ কেন হত্যা মামলা করল, তা ঠিক বুঝতে পারছি না।’

ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূ সান্তনা রায় মিলির মৃত্যুর পর তার পরিবার একে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল। তবে মরদেহে পোড়া দাগ পাওয়ায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে।

গত ৮ জুলাই মরদেহ উদ্ধারের পর ১০ জুলাই ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নির্মল কুমার রায় হত্যা মামলাটি করেন।

মঙ্গলবার মিলির বড় মেয়ে তিথি রায় নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, তার মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি আত্নহত্যা করেছেন।

তবে এজাহারে বলা হয়, মিলিকে হত্যার পর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মরদেহ উপজেলার তাঁতিপাড়ার বাটা শোরুম এবং নির্মাণাধীন একটি ভবনের মাঝের গলিতে ফেলে রাখা হয়।

মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের স্বজনদেরকে অভিযোগ দিতে বলা হলেও তারা দেয়নি। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

এ বিষয়ে তিথি রায় বলেন, ‘আমরা জানি মা আত্নহত্যা করেছে। এমনকি মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুটে আত্নহত্যার বিষয়টি বলে গেছেন। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। অনেক সময় উদ্ভট আচরণ করতেন।

‘তার এমন আচরণে কয়েকবার বিভ্রান্তির স্বীকার হয়েছে আমার পরিবার। তা ছাড়া আমার মা একজন সাইকোলজিস্টের কাছে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’

তিনি দাবি করেন, ‘জেনে শুনে কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইনি। তাই এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি আমার পরিবার। তবে পুলিশ কেন হত্যা মামলা করল, তা ঠিক বুঝতে পারছি না।’

চিরকুট কোথায় আছে জানতে চাইলে তিথি বলেন, ‘ওইটা আমার বাবা সমীর চক্রবর্তীর কাছে আছে।’

মামলার বাদী এসআই নির্মল কুমার রায় জানান, মিলির কান এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ পোড়া ছিল। তার মনে হয়েছে মিলিকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য মূল ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য মামলাটি করেছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘গৃহবধূ মিলির মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে আমরা কাজ করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনও পাইনি। সেটি পেলে অনেকগুলো বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।

‘আশা করি, খুব অল্পসময়ে মধ্যে মিলির মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর