ঈদের আগে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সে দামে বেচাকেনা হচ্ছে না কোরবানির পশুর চামড়া। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর চামড়ার দাম অনেক কম। যে দামে চামড়া কেনা হচ্ছে, সে দামের অর্ধেকও দিচ্ছেন না আড়তদাররা।
বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে দুপুর থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে কালীবাজার সড়কে আসতে থাকেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সেখানে দেখা গেছে বাড়তি দামের আশায় তারা এক ব্যাপারি থেকে ছুটছেন আরেক জনের কাছে।
ব্যবসায়ী আবু মিয়ার অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত দামে সারাদিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে চামড়া কিনেছেন তিনি। কিন্তু আড়তদারদের কাছে নিয়ে আসার পর প্রতিটি গরুর চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র একশ’ থেকে তিনশ‘ টাকায়। আর ছাগলের চামড়ার দাম দিচ্ছে ১০ টাকা।
আড়তদার দেলোয়ার হোসেন, বাবুল হোসেন ও মঞ্জুর রহমান জানান, গত বছরের চামড়ার টাকা এখনও তারা পাননি। এই অবস্থায় চামড়ার ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার কথাও ভাবছেন অনেকেই।
জেলা পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, সরকার চামড়ার মূল্যে নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী চামড়া বেচাকেনা হবে। কোনো সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে বেচাকেনা বা পাচারের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।