তীব্র স্রোতে নৌরুটে ফেরি পারাপারে লাগছে বেশি সময়। এমন পরিস্থিতিতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী শ শ যাত্রী ঈদের আগে পারেনি পদ্মা পাড়ি দিতে।
নদী পারাপারের অপেক্ষায় অধিকাংশের ঈদ কাটছে ঘাটে বসেই। শিমুলিয়ার পার্কিং ইয়ার্ডে পারাপারের অপেক্ষায় শ শ গাড়ির সারি। প্রাইভেট কার, পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি লাইনে দাঁড়ানো ফিরতি গরুবাহী ট্রাক।
ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন গাড়ি।
তবে, লঞ্চে নির্বিঘ্নে নদী পাড়ি দিচ্ছে যাত্রীরা।
ট্রাকচালক মো. সবুজ বলেন, ‘পরশু ঢাকা আইসি। যামু যশোরে। এই প্রথম ঘাটে ঈদ করলাম। ট্রাক ভরা মাল নিয়া পদ্মা কখন পাড়ি দিমু জানি না।’
এক মাইক্রোবাসের যাত্রী আবদুল হাই বলেন, ‘দুই ভাইবোনের পরিবারের ১০ জন মিলে আমরা যশোর যাচ্ছি মাইক্রো করে। রাতে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছি। মনে করেছিলাম ঈদের দিন যানজট কম থাকবে, কিন্তু রাত পার হয়ে দিন, দিন গিয়ে বিকেল, এখনও ঘাট পার হতে পারেনি।’
ফরিদপুরের সাদেক মিয়া জানান, ঢাকায় গিয়েছিলেন গরু বিক্রি করতে। সব গরু বিক্রি না করতে পারায় ফিরছেন দুটি গরু নিয়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে পাঁচটি রোরো, পাঁচটি ঠেলা, চারটি কে টাইপ, দুটি মিডিয়ামসহ মোট ১৬টি ফেরি যানবাহন পারাপারে সচল রয়েছে। মহাসড়কে প্রায় ৩০০ এবং ঘাটে ২৫০টি মিলিয়ে প্রায় ৫৫০টি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।’