বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিক্রি বেড়েছে খাটিয়ার

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ২০:১৬

‘আমি ভ্যানে করে তরিতরকারি বেচি। এহন কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গাছের গুঁড়ির চাহিদা বেশি। তাই স-মিল থেকে এই কাঠের গুঁড়িগুলা আইনা বেচতাছি। বেচা-বিক্রি বেশ ভালো অয়তাছে।’

বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে শেরপুরে বেড়েছে তেঁতুল গাছের গুঁড়ির খাটিয়ার কদর।

শেরপুর জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে রিকশা-ভ্যানে করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের ঘুরে ঘুরে তেঁতুল কাঠের গুড়ির খাটিয়া বিক্রি করতে দেখা যায় মঙ্গলবার সকাল থেকে। এমন চিত্র দুদিন আগেও ছিল না।

যারা কোরবানি দেবেন তারাই এসব খাটিয়া কিনছেন। ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খাটিয়া।

জেলা শহরের খরমপুর মোড়ে ভ্যানে করে গাছের গুঁড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী শাহ আলম।

তিনি বলেন, ‘আমি ভ্যানে করে তরিতরকারি বেচি। এহন কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গাছের গুঁড়ির চাহিদা বেশি। তাই স-মিল থেকে এই কাঠের গুঁড়িগুলা আইনা বেচতাছি। বেচা-বিক্রি বেশ ভালো অয়তাছে।’

রহিম মিয়া নামের আরেক বিক্রেতা জানান, বাজারে বিভিন্ন গাছের খাটিয়া রয়েছে। তবে তেঁতুল গাছের গুঁড়িই কোরবানির পশু কাটতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কারণ এই গাছের থেকে কাঠের গুঁড়া ওঠে না। এগুলোতে মাংসও লেগে থাকে না। এই গুড়িগুলো বেশ শক্ত ও দামে সস্তা হয়।

সদর উপজেলার বালুরঘাট গ্রামের বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, ‘আমি প্রতি বছরই গরু কোরবানি দেই। এবারও দিতেছি। তেঁতুল কাঠের খাইট্টা গোস্ত কাটার জন্য খুব সুবিধা। তাই ২০০ টাকা দিয়া একটা খাইট্টা কিনলাম।’

সদরের গৌরীপুর মহল্লার আলহাজ শাহ আলম বলেন, ‘খাইট্টা ছাড়া গোস্ত কাটা খুব সমস্যা। গরু কিনছি, গরু কাটার সরঞ্জাম একটু ধার দিয়া নিলাম। আর প্রতিবছর নতুন কইরা খাইট্টা একটা করে কিনা লাগে। কারণ খাইট্টা বেশিদিন থাকলে নষ্ট হয়া যায়। তার জন্য শেষ সময়ে আইসা ২৫০ টাকা দিয়ে একটা খাইট্টা কিনা নিলাম।’

এ বিভাগের আরো খবর