দেড় বছর পর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন ইয়াসমিন বেগম। তার বাড়ি সিলেটে। রাজধানীর শনির আখরা থেকে ভোর ৬টার দিকে তিন সন্তান নিয়ে সাইনবোর্ড এসে গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।
তার কোলে এক বছরের শিশু চাঁদ। ছয় ঘণ্টা অপেক্ষার পর গাড়ি না পেয়ে চিন্তায় পড়েছেন ইয়াসমিন বেগম। তার মতো হাজারো মানুষ বাড়ি ফিরতে অপেক্ষা করছেন মহাসড়কে।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল এলাকায় দূরপাল্লার পরিবহনের অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। বৃষ্টির কারণে ভোর থেকে যানবাহনে উঠতে পারেননি অনেকে। পরিবহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেকে বেছে নিয়েছেন ট্রাক, পিকআপ ভ্যান। অনেকে আবার বাড়ি ফিরছেন ভেঙে ভেঙে ছোট যানে।
ইয়াসমিন বেগম জানান, চাঁদ প্রথম দাদাবাড়ি যাচ্ছে ঈদ করতে। যানজট এড়াতে ভোরে ঘর থেকে বের হয়েছি।
‘শনির আখরায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে গাড়ি পাই নাই। তারপর বাচ্চাগো নিয়া সাইনবোর্ড আইছি।’
তার মতো গাড়ির জন্য অপেক্ষায় মহাসড়কের পাশে বসে আছেন নাসিমা বেগম। নাতিকে নিয়ে এই বৃদ্ধা কখন বাড়ি ফিরবেন তা অনিশ্চিত।
নাসিমা বেগম বলেন, ‘কুমিল্লা যামো ভাড়া চায় ৬০০ টাকা। গত ঈদেও ভাড়া আছিল ৩০০ টাকা। গাড়িও নাই, অনেকক্ষণ পরপর একটা-দুইটা আসে, তখন সঙ্গে সঙ্গে লোক উইঠা পড়ে। নাতিরে নিয়া উঠতে পারি নাই। দুপুর হইয়া গেছে অহনো গাড়ি পাইলাম না।’
লক্ষ্মীপুর যেতে শিমরাইল মোড়ে অপেক্ষা করছেন রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘যারা আগে টিকিট কাটছে তারা কাউন্টারের আশপাশে আছে। গাড়ি আসলেই তো মানুষ উঠে পড়ছে। আমরা গাড়ির জন্য বসে আছি।’হাইওয়ে পুলিশের সহকারী সুপার অমৃত সূত্র ধর নিউজবাংলাকে জানান, মদনপুর ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। কলকারখানা ছুটি হওয়াতে সকালে মানুষের চাপ বেড়েছে অনেক। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে যারা যেতে পারেনি আজ তারা বাড়ি ফিরছেন।