জয়পুরহাটের কালাইয়ে বেগুন গ্রামের অর্ধলাখের বেশি মানুষ গরু কোরবানি দেন না। খানকায়ে চিশতিয়া তরিকাপন্থি পীর হজরত খাজা শাহ আব্দুল গফুর (র.)-এর অনুসারীরা কখনও গো-মাংস খান না।
শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে গরু কোরবানিও একেবারেই নিষিদ্ধ। তবে তারা ছাগল কোরবানি করেন।
তাই এ জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকার হাট-বাজারগুলোতে রয়েছে ছাগল-খাসির চাহিদা বেশি। তবে করোনার কারণে ছাগলের বাজারেও তেমন ক্রেতা নেই। তাই বাজারদরও বেশ কম।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশ শাসনামলে জেলার কালাই উপজেলার বেগুন গ্রামে আসেন চিশতিয়া তরিকাপন্থি পীর হজরত শাহ খাজা আব্দুল গফুর চিশতিয়া (র.)। সংসার বিরাগী এই আধ্যাত্মিক পুরুষের জনহিতকর কাজে মুগ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার তরিকা চিশতিয়াপন্থি হয়ে পড়েন কয়েক হাজার মুসল্লি।
তবে মুসলিম হলেও গরুর মাংস খান না এই পীরের অনুসারীরা। এমনকি এই তরিকার পীর ভক্তদের মাঝে কোরবানিতেও গরু জবাই একবারেই নিষিদ্ধ। কেন তারা গরুর মাংস খান না তার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারেননি অনেকেই। তবে এখন পর্যন্ত এই রীতি ধরে রেখেছেন চিশতিয়াপন্থি পীরের মুরিদরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালাই উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন বলেন, ‘বেগুন গ্রামের পীরভক্তদের মধ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ হলেও ভিন্ন মতাবলম্বীদের কোরবানিতে বাধা দেন না। এভাবেই ভেদাভেদ ভুলে শান্তিতে বসবাস করেন তারা।’