মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো বাংলাবাজার ঘাটে আসে। এ সময় ঘাটে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেক লঞ্চের মালিককে ৫ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহণ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করায় তিনটি লঞ্চের মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাংলাবাজার লঞ্চঘাটে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্ব চলা অভিযানে এই লঞ্চগুলো আটক করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে এমভি সেভেন স্টার, এমভি কাওড়াকান্দি ও এমভি হযরত দেলোয়ার শাহ নামের লঞ্চগুলো বাংলাবাজার ঘাটে আসে। এ সময় ঘাটে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেক লঞ্চের মালিককে ৫ হাজার টাকা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এমভি সেভেন স্টার লঞ্চের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রী তোলা হয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বার বার সচেতন করলেও লঞ্চের শ্রমিকরা ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে এভাবে লঞ্চবোঝাই করে যাত্রী আনা হচ্ছে। এই ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিমও সার্বক্ষণিক ঘাটে রয়েছে। আজ অনিয়মের কারণে আমরা তিনটি লঞ্চ চালককে জরিমানা করেছি। এছাড়াও নৌযানসহ যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী নিলেই জরিমানা করা হবে।’