বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বছরে দুই বার ছুটি, যেতেই হবে বাড়ি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ০১:২৭

‘ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া লাগতেছে বাড়িতে যাওয়াই লাগবে। আমরা বছরে দুইবার ছুটি পাই। বাড়িতে মা-বাবা আছে। ফ্যামিলির সাথে ঈদ করব এটাই প্রত্যাশা। ৪০০ টাকা ভাড়া বেশি দিয়ে হলেও ট্রাকে যেতে হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নাই।’

ঈদে ঘুরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে সড়কে। মূলত পোশাক কারখানাগুলো সোমবার ছুটি হওয়ায় সড়কে হাজারও শ্রমিকের জটলা। বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানে গাদাগাদি করেই বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ।

ভাড়া দ্বিগুণ হলেও খুব একটা অভিযোগ নেই যাত্রীদের। যেভাবেই হোক নাড়ির টানে বাড়ি ফেরাই যেন তাদের এখন ব্রত। সড়ক ও পরিবহনে পুরোপুরি উপেক্ষিত বিধিনিষেধ। পুলিশ মোতায়েন থাকলেও অসহায়ত্ব প্রকাশ তাদের।

সোমবার বিকেল ৪টা থেকেই নবীনগর-চন্দ্রা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করতে থাকেন ঘরমুখো শ্রমিকরা। দলে দলে পায়ে হেঁটেই তারা বাস কাউন্টারগুলোর সামনে উপস্থিত হন। এ সময় কাঙ্খিত গন্তব্যের বাসে ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ায় তারা ঝুঁকি নিয়েই রওনা হন ট্রাক কিংবা কাভার্ডভ্যানে।

ট্রাকে উঠেছেন পোশাক শ্রমিক হৃদয় মোল্লা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া লাগতেছে বাড়িতে যাওয়াই লাগবে। আমরা বছরে দুইবার ছুটি পাই। বাড়িতে মা-বাবা আছে। ফ্যামিলির সাথে ঈদ করব এটাই প্রত্যাশা। ৪০০ টাকা ভাড়া বেশি দিয়ে হলেও ট্রাকে যেতে হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নাই।’

মো. নাঈম বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ বেলকুচি বাড়িত যাব। ট্রাকে যামু কারণ বাসে পোষাইতে পারতেছি না। তারপরে জ্যামের কষ্ট। ট্রাকে খাড়ায় গেলে বাতাস নাগে। তাই এক-দুই শ’ বেশি নাগলেও খাড়ায়তো যাওন নাগব।’

কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. সুজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসলে তো পেসেনজারের প্রচুর চাপ। পর্যাপ্ত পরিমাণ বাস সার্ভিস এখানে নাই। সবাইতো বাড়িতে যাইয়া ঈদ করব। আর বাসের ভাড়াও দ্বিগুণ। প্রত্যেকটা গাড়িতে ডাবল ডাবল যাত্রী নিতাছে। আবার জামালপুরের ভাড়াও নিতাছে ৮০০-১০০০ ট্যাকা কইরা।

আর আমরা ট্রাকে নিতাছি ৪০০ কইরা। বাতাসে একটু রিল্যাক্সে যাত্রীরা যাইতে পারতাছে, সুবিধা হইতাছে। আমরাও দুই ট্যাকা কামাই করার জন্য আইছি। তো আমরাও প্যাটের দায়ে নিতাছি আরকি এইরকম।’

সড়কে দায়িত্বরত ঢাকা জেলা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দালালরা ট্রাকে যাত্রী ভরতাছে। এখন আমরা কী করবো ভাই? আমরাতো চেষ্টা করতাছি। যাতে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে না যায়। কিন্তু কেউতো শুনতাছে না। যাদের পারতাছি না, তাদের র‌্যাকার বিল করতাছি।’

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকেই শিল্পাঞ্চলের সব কারখানা ছুটি হয়েছে। শ্রমিকরা সবাই যার যার মতো গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর