বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোরবানির টাকায় রিকশাচালকের ঘর মেরামত করবেন ব্যারিস্টার সুমন

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২১ ০০:৩০

দরিদ্র রিকশাচালক ইউসুফ আলী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক ছেলে ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে ভাঙা ঘরে বসবাস করে আসছেন তিনি।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবারের ঈদে দুটি গরু কোরবানি দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

এরই মধ্যে একটি গরু কিনেছেন। মঙ্গলবার দ্বিতীয় গরুটি কিনবেন বলে ঠিক করেন। তবে রাস্তায় চলার পথে দরিদ্র রিকশাচালক ইউসুফ আলীর ভাঙা ঘর দেখে দুটি গরু কোরবানি দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি।

ফেসবুক লাইভে এসে সোমবার বিকেলে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানান, একটি গরু কোরবানি দেবেন, অন্য গরু কেনার টাকা দিয়ে মেরামত করবেন দরিদ্র রিকশাচালকের ঘর। লাইভে ভাঙা ঘরের ছবিও দেখান তিনি।

রিকশাচালক ইউসুফ আলী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক ছেলে ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে ভাঙা ঘরে বসবাস করে আসছেন তিনি।

ইউসুফ জানিয়েছেন, তার দুটি ঘরের একটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে ছোট একটি ঘরে ৭ সদস্যকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বৃষ্টি হলে এই ঘরটিও ভেসে যায়।

লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এই ঘরটি দেখে আমার অনেকগুলো কাজ থমকে গেছে। অনেকেই বড় বড় গরু কোরবানি দিবেন। আমি নিজেও দুটি গরু কোরবানি দেয়া চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু ঘরের টিনের দিকে থাকিয়ে মনে হয়েছে ‘আসমানী’র যে ঘর সেটিকেও হার মানিয়েছে।’’

ঘরের ভেতরের অংশ দেখিয়ে যুবলীগ নেতা বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ঘরে থাকার কোনো উপায় নেই। তার (রিকশাচালক) তিন মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে পড়াশোনা করে। টাকার অভাবে দুই মেয়ে পড়াশোনা করতে পারে না।

‘আসলে পড়াশোনার কথা বলা সহজ। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা মুখে বলি, সবাইকে পড়ালেখা করান। কিন্তু আপনার কি মনে হয়, এই ভাঙা টিনের ঘরের মধ্যে থেকে কী কাউকে পড়াশোনা করানো সম্ভব?’

সুমন বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সন্তানদের পড়াশোনার কথা কীভাবে বলব? ঘরে থাকায় তো দায়। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার দুটা গরু কোরবানি দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে একটা কোরবানি দেব। আরেকটা গরুর টাকা দিয়ে আপাতত তার (রিকশাচালক) ঘরের টিন কিনে ঘরটা মেরামত করে দেব।

‘দুই-এক দিনের মধ্যে তার ঘরে নতুন টিন লাগিয়ে দেব। তাহলে হয়তো তারা বৃষ্টি থেকে বেঁচে যাবে। পরবর্তীতে ঘর বানিয়ে দেয়ার চিন্তা করব।’

এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবানদের নিজের আশপাশের দরিদ্র মানুষের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এ বিভাগের আরো খবর