যশোর সদর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে সানজিদা আক্তার লিমা নামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে ওই ঘটনার পর থেকে তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই পলাতক। স্থানীয়রা জানালে সোমবার ভোর ৫টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মনিরামপুর থানা পুলিশ।
মরদেহের গলার বামপাশে আঘাতের কালো দাগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, সানজিদা ওই গ্রামের চা বিক্রেতা ওমর ফারুকের স্ত্রী। গত বছর ঈদুল আজহার আগে তার বিয়ে হয়। ছয় মাস আগে শ্বশুরবাড়িতে যায় সে। তার বাবা ও শ্বশুরবাড়ি একই গ্রামে।
সানজিদার বাবা বাবুল হোসেন মেয়েকে হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এক মাস আগে জামাইয়ের সাথে আমার দ্বন্দ্ব হয়। পরে মিটমাট করে তারা মেয়েকে নিয়ে যায়।
‘তখন থেকে তাদের সাথে আমার বনিবনা ছিল না। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আমি থানায় মামলা করব।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘রোববার রাত ৮টার দিকে গ্রাম্য চিকিৎসক মোস্তফা কামালকে ডেকে আনেন ফারুক। ডাক্তার এসে ঘরের খাটের ওপর সানজিদাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছে। এরপর ওমর ফারুকসহ বাড়ির সবাই লাশ ফেলে পালিয়েছে।’
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক আক্তারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দেখে আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। মরদেহের গলায় আঁচড়ের দাগ রয়েছে।
‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মামলা হবে।’