ঈদ উপলক্ষে শাটডাউন শিথিল করায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর কথা থাকলেও ঢাকা থেকে ভোলায় যাওয়া লঞ্চগুলোয় ছিল অতিরিক্ত যাত্রী।
ঢাকার সদর ঘাট থেকে সোমবার দুপুরে চারটি লঞ্চ ভোলার ইলিশা ঘাটে আসে। প্রতিটি লঞ্চেই ছিল অতিরিক্ত যাত্রী। অনেক যাত্রীর মুখেই ছিল না মাস্ক।
যদিও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। আর যাত্রীদের বক্তব্য, গাদাগাদি করে হলেও বাড়ি ফিরতে পেরে তারা খুশি।
ভোলার বাংলাবাজারের হাবিবুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, সকাল সাতটার দোয়েল পাখি লঞ্চে ভোলা এসেছেন। ৫০০ যাত্রী নেয়ার কথা থাকলেও ৭০০ থেকে ৮০০ জন এই লঞ্চে এসেছেন। এত কষ্ট করে বাড়ি ফেরার কারণ পরিবারের সঙ্গে ঈদের দিন কাটানো।
সদর উপজেলার দুই বন্ধু নয়ন ও রায়হান জানান, ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে পেরে তারা খুবই খুশি। তবে লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। করোনার কথা মনে হয় কারো মনেই ছিল না।
জুঁই নামের আরেক যাত্রী জানান, ঈদে যাত্রীর চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটা মাথায় রেখেই লঞ্চে উঠেছেন। লঞ্চ ভাড়া আগের মতোই ছিল। ফিরতে কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে কিছু যাত্রী পন্টুন বাড়ানোর দাবি জানান যাতে ওঠানামার সময় গাদাগাদি কিছুটা কম হয়।
গ্রিন লাইন সার্ভিসের ম্যানেজার লক্ষণ দাসের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি লঞ্চ ঢাকা থেকে ছাড়া হচ্ছে। ছাড়ার আগে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা চেক করে লঞ্চ ছাড়ে।
বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নৌ বন্দরের ট্র্যাফিক সুপারভাইজার রকিবুল হাছান নিউজবাংলাকে জানান, নৌপথে সব যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক পরার জন্য বলা হয়েছে। বেশিরভাগ যাত্রীই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবেন।