সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে উদযাপন হবে ঈদুল আজহা।১৯২৮ সাল থেকে এই প্রথা চালু রয়েছে চাঁদপুরে। হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার সে সময়কার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক এই প্রথা চালু করেন।সাদ্রা দরবারের বর্তমান পীর শাইখ মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘সৌদিতে সোমবার হজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই মঙ্গলবার আমরা ঈদ উদযাপন করব। আমাদের এখানে সব মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সকাল সাড়ে ৮টায় মাদ্রাসা মাঠে ঈদের নামাজের প্রথম জামাত হবে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন হবে। তা ছাড়া সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ উদযাপন করবেন।’তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামের মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করবেন।চাঁদপুরের মতো চট্টগ্রাম জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে মঙ্গলবার কোরবানির ঈদ উদযাপন হবে।
মূলত দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা এ দিন ঈদ উদযাপন করবেন।
মির্জাখীল দরবার শরিফের পীর ছৈয়দ মছউদুর রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার দরবার শরিফে ঈদ জামাত পরিহার করা হয়েছে। অনুসারীরা নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে পশু কোরবানি দেবেন।’
তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এ ছাড়া আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ গ্রামে সকাল ৭টায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি দেয়া হবে।
মির্জাখিল দরবার শরীফ পরিচালনা কমিটির সদস্য হেলাদুল হাই বলেন, ‘প্রায় দুইশো বছর ধরে মির্জাখিল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন। একইভাবে রোজা ও ঈদুল ফিতর উদযাপনও সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একদিন আগে হয়ে থাকে।’
অন্য যেসব গ্রামে মঙ্গলবার ঈদ উদযাপিত হবে তার মধ্যে রয়েছে সাতকানিয়ার এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির আরও কয়েকটি গ্রাম।
এ ছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও এ দিন ঈদ উদযাপন করবেন।