হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ অভিযোগ করেছেন।
ট্রাব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী শুনানি শেষে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তিন দিনের মধ্যে মামলা নিতে নির্দেশ দেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্বামীর সঙ্গে বিবাদের কারণে নবীগঞ্জে একটি ভাড়া বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন এক নারী।
গত ২৫ জুন বিকেলে ওই নারী ডাক্তার দেখাতে যান। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পরে তরুণী তার মাকে সব খুলে বলেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই তরুণীকে নিয়ে তার মা হাসপাতালে যেতে চাইলে ওই চেয়ারম্যান তাদের হত্যার হুমকি দেন। ২৮ জুন কৌশলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করার বিষয়টি শুনেছি। তবে আমাদের কাছে এখনও আদালত থেকে কোনো কাগজপত্র আসেনি। নির্দেশনা আসলেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সম্প্রতি ওই নারী তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকার ময়মুরব্বিদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়।
‘সামাজিক উদ্যোগে হওয়া বিচার তার বিপক্ষে যাওয়ায় তিনি আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া সামনে নির্বাচন হওয়ার কারণে আমার প্রতিপক্ষরাও তাকে ইন্ধন দিয়েছেন।’