স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলনার টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহার প্রধান ও প্রথম জামাত।
বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হবে এই জামাত।
খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ড ও উপজেলার মসজিদগুলোতে ঈদের জামাতের সময় নির্ধারণ করেছে মসজিদ পরিচালনা কমিটি। জেলার সকল মসজিদেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ্য করা হয়েছে, জেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ভবনে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং সূর্যাস্তের আগে পতাকা নামানো হবে।
ঈদের নামাজ আদায়ের সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজের কাতারে দাঁড়াতে হবে। মুসল্লিদের বাসা থেকে অজু করে এবং মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদের অজুর স্থানে সাবান ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
নামাজ শেষে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো যাবে না। মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। মসজিদের টুপি এবং জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না।
শিশু, বৃদ্ধ, কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বিবরণীতে ঈদগাহ বা খোলা স্থানে ঈদের জামাত আদায়ে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় উৎসাহিত করা হয়েছে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে।
বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
ঈদের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চ স্বরে মাইক ও ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।