মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ছুরিকাঘাতে শরীফ নামের এক যুবক খুনের ৩১ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন থেকে তাকে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামি সজীবের বাড়ি উপজেলার শান্তিবাগ এলাকায়। তার বয়স ২৫ বছর।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মৃত্যুর আগ মুহূর্তে শরীফের দেয়া জবানবন্দির সূত্র ধরেই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন নিউজবাংলাকে জানান, নিহতের মা দিলারা বেগম রোববার দুপুরে একজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের কলেজ রোডে প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার রাত ৯টার দিকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত অবস্থায় ওই যুবক ছটফট করছিলেন। লোকজন এগিয়ে গেলে তিনি নিজের নাম শরীফ এবং শহরতলির শাহজিবাজার এলাকার শায়েস্তা মিয়ার ছেলে বলে জানান। শান্তিবাগ এলাকার সজীব নামে এক ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করেছে বলেও জানান ওই যুবক।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক শরীফকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, শরীফের মৃত্যুর আগে দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন দৈনিক যুগান্তরের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ সালাউদ্দিন। পরে সেই ভিডিও বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে দেখা দেয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।
ওসি আব্দুস ছালেক জানান, দুই বন্ধু প্রথমে পেট্রল পাম্পের কাছে ঝগড়া করেন। পরে শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের কাছে শরীফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। শরীফের পকেটে সজীবের মোবাইল ফোন ও হাতে একটি চাকু ছিল। তার বুকের মাঝামাঝি জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মোবাইল নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া হতে পারে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।