ফেসবুক লাইভে এসে কারখানা দখলচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজ।
তিনি রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে অভিযোগ করেন, পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি। জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও তিনি শঙ্কিত।
রেজবিন হাফিজ সাভারের আশুলিয়ায় পিপলস ফুটওয়্যার এন্ড লেদার গুডস কারখানার স্বত্বাধিকারী।
১০ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের লাইভে তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা গত মাস থেকে আমার প্রতিষ্ঠান দখল করে আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। আমি আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেছি। আমাকে তারা ২২ তারিখে রাত ১০-১২টা পর্যন্ত ফ্যাক্টরিতে আটকায় রাখে এবং আমার কাছে চাঁদা দাবি করে।
‘পরের দিন আবার তারা এসে আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। আমি অসংখ্যবার পুলিশের কাছে গিয়েছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই আমাদের বাঁচান, আমার প্রতিষ্ঠানকে বাঁচান।
‘এই মুহুর্তে আমার প্রতিষ্ঠানের বিদুৎসংযোগ অফ করে দেয়া হইছে। আমার প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরাসহ সমস্ত কিছু অফ করে দিয়ে সামনে ট্রাকভর্তি বালু দিয়ে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী এখনও অবস্থান করছে। আমি ৯৯৯ এ কল করেছি।’
লাইভে তিনি পুলিশের অসহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমাকে কোনো থানা পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না। আমি ঊর্ধতন কর্মকর্তার কাছেও গিয়েছি। তারা আমাকে বলেছে, ঈদের পরে।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নাই। গার্মেন্টস সেক্টরটা ওসি ইন্টেলিজেন্স দেখেন।’
আশুলিয়া থানার ওসি ইন্টেলিজেন্স একেএম ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা এখানে একবার বসছিলাম। উভয়পক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বসছিলাম। উনি যে জয়েনস্টক কোম্পানির কাছ থেকে কারখানাটি কিনছিল তাদের চারজন মালিক ছিল। এর মধ্যে রেজাউল করিমের কাছ থেকে তিনি কিনেছে।
‘তিনি তো একজনের কাছ থেকে কিনতে পারেন না। সেই জন্যে আমরা বলছিলাম ভেরোনা ফুটওয়্যারের রেজাউল করিমকে নিয়ে আসেন। পরশু দিন আমরা বসতে বলেছিলাম৷ তিনি আসছিল, কিন্তু ওই মহিলা আসে নাই।’
পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে না, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি।’