ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র দুই দিন। তাই প্রতি বছরের মতো এবারো জমে উঠেছে পঞ্চগড়ের রাজনগর পশুর হাট। তবে ক্রেতা সঙ্কটে বিক্রি জমেনি। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রোববার পঞ্চগড় জেলা শহরের পূর্ব জালাসীর এই হাট ঘুরে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন আকারের প্রচুর গরু-ছাগল নিয়ে এসেছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। তবে বিক্রি নেই বললেই চলে।
হাটে কথা হয় গরু ব্যবসায়ী মিজানের সঙ্গে। নিউজবাংলাকে তিনি জানান, হাটে ১৮টি গরু আনলেও একটিও বিক্রি হয়নি। তাই সবকটিই ফেরত নিয়ে যাবেন। সোমবার সেগুলো নিয়ে আবারও হাটে আসবেন।
গরু ব্যবসায়ী মিজান আক্ষেপ করে বলেন, ‘কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে গরুগুলো চড়া দামে কিনেছিলাম। লকডাউনের কারণে এতদিন হাটে তুলতে পারিনি। এখন ঈদের আগে বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে।’
একই আক্ষেপের কথা জানান জালাল উদ্দীন নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনি ১১টি গরু এনেছিলেন হাটে।
নিউজবাংলাকে জালাল উদ্দীন বলেন, ‘১১টা গরুর মধ্যে মাত্র দুটি বিক্রি করতে পেরেছি। তাও প্রত্যাশিত দাম পাইনি।’
আবুল হোসেন নামের এক গৃহস্থ নিজের পালের পাঁচটি গরু এনেছিলেন কোরবানির এই হাটে। বিক্রি হয়েছে মাত্র একটি।
তিনি বলেন, ‘ক্রেতাই আসছে না, আসলেও প্রত্যাশিত দামের ধারে কাছেও দাম বলছে না।’
হাটের ইজারাদার মোশারফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসেননি। লকডাউনের কারণে তারা বিভিন্ন খামার থেকেই গরু সংগ্রহ করেছেন। আর স্থানীয় অনেক ক্রেতাই স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা ভেবে হাটে আসছেন না। তারাও কোরবানির জন্য বিভিন্ন খামার থেকে গরু কিনছেন। এ কারণে হাটে বেচাকেনা খুব কম।’
নেই স্বাস্থ্যবিধি
হাটের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা জারি করেছে কাউকে তা মানতে দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঘোরাঘুরি করছিলেন গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও তা থুতনিতে নামিয়ে রেখেছিলেন।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে হাটের ইজারাদার মোশারফ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে আমাদের লোকজন কাজ করে যাচ্ছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও মাস্ক পরানোর জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারপরও কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না।’