কুমিল্লায় এক নারী হত্যার ২ বছর ৯ মাস পর মামলার আসামি এক তরুণকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই তরুণ সম্পর্কে ওই নারীর নাতি।
কুমিল্লার ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক রোকেয়া বেগম রোববার দুপুরে ওই তরুণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেবিদ্বার থানার শিবপুর এলাকা থেকে মো. হৃদয় নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দাদি নুরজাহান বেগম হত্যার মামলার আসামি তিনি।
রোববার বিকেলে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাৎ হোসেন।
মো. হৃদয় বুড়িচং উপজেলার জগৎপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর জগৎপুর গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে অলি আহাদ তার মা নুরজাহানকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ বাড়ির পাশের জমিতে ফেলে স্ত্রী রুবি আক্তার ও ছেলে হৃদয়সহ পালিয়ে যান আহাদ। হত্যাকাণ্ডে আহাদকে সহযোগিতা করেন রুবি আক্তার ও তার ছেলে হৃদয়।
ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুরজাহানের মেয়ে সেলিনা আক্তার।
এসআই শাহাদাৎ হোসেন জানান, অলি আহাদের বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা ছিল। ২০১৯ সালে র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে মারা যান আহাদ।
অন্যদিকে হত্যার ঘটনায় রুবি আক্তার কারাভোগের পর এখন জামিনে রয়েছেন। আহাদ-রুবির ছেলে হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করব আদালতে।’