পাবনায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে দুর্বৃত্তরা তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত আব্দুর রশিদ মোল্লা সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
রশিদের বন্ধু রুহুল আমিন বলেন, পাবনা শহরের অনন্ত হল এলাকায় রোববার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রুহুল জানান, রশিদ হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তাকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে পাবনা যাচ্ছিলেন তিনি। শহরের অনন্ত হল এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের অটোরিকশা থামিয়ে রশিদকে নামিয়ে নিয়ে যায়।
বিষয়টি রশিদের পরিবারের সদস্যদের জানান তিনি। তারা পাবনা পুলিশ সুপার ও সুজানগর থানা পুলিশকে খবর দেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব বাপ্পি নিউজবাংলাকে জানান, তিনি শালগাড়িয়া বাইপাস এলাকার বাসিন্দা। দুপুরে দেখেন কিছু লোক একজন মুরব্বিকে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে মাইক্রোবাসে পালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি তাকে উদ্ধার করে পাশের সততা ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
বাপ্পি আরও জানান, রশিদ জ্ঞান ফেরার পর জানিয়েছেন, সম্প্রতি এলাকায় একটি ঝামেলার কারণে স্থানীয় গোলাম রসুল বকুল ও তার সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হয়। তারাই তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু পুলিশ বিষয়টি টের পেয়ে যাওয়ায় তারা তাকে লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়ে দিয়ে মারধর করে ফেলে রেখে যায়। তিনি গোলাম রসুল বকুল, সুজানগর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সোহাগ, সাগরকান্দির রাজু, মানিক, লোকমান, মৃদুল, নয়ন, সুজন, হালিমকে চিনতে পেরেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বকুলকে একাধিকবার ফোন করা দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।
সুজানগর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সোহাগ বলেন, ‘আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা অপহরণের খবর পেয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে রশিদকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে জানতে পারি তাকে সন্ত্রাসীরা ফেলে রেখে গেছে।
‘এর সঙ্গে কারা জড়িত সে বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’