বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই বৃদ্ধ আবার গেলেন কাদের মির্জার কাছে

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২১ ২২:৪৬

এনামুল বলেন, ‘কাপড় দেওয়ার সময় আমরা ঝামেলা করি দেখে মেয়র সাহেব (কাদের মির্জা) হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন। আমারে কোনো মারে নাই, কিচ্ছু করে নাই। তিনি খুব ভাল মানুষ। গরিব মানুষকে তিনি সাহায্য করেন।’

ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণের সময় নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বৃদ্ধকে ঘুষি মারার বিষয়ে মুখ খুললেন সেই বৃদ্ধ।

শনিবার সেই বৃদ্ধ আবার সাহায্য নিতে গেছেন বসুরহাট পৌর মেয়রের কার্যালয়ে। তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি বসুরহাট পৌরসভার বাসিন্দা। তার নাম এনামুল হক কালু।

তিনি বলেন, ‘কাপড় দেওয়ার সময় আমরা ঝামেলা করি দেখে মেয়র সাহেব (কাদের মির্জা) হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন। আমারে কোনো মারে নাই, কিচ্ছু করে নাই। তিনি খুব ভাল মানুষ। গরিব মানুষকে তিনি সাহায্য করেন।’

এনামুল আরও বলেন, ‘আমি আজকে আবার এসেছি মেয়র সাহেব থেকে চাল নেওয়ার জন্য। আমি নিজ থেকে এসেছি, উনার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নাই। উনি সব সময় আমাদের সাহায্য করেন।’

শুক্রবার সকালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণের সময় নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার এক অসহায় বৃদ্ধকে ঘুষি মারার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন কাদের মির্জা।

২০ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভের মধ্যে ১৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের সময় দেখা যায়, কাদের মির্জা এক বৃদ্ধকে শাড়ি দিয়েছেন। বৃদ্ধ শাড়িটি পরিবর্তন করতে চাইলে কাদের মির্জা তার বুকে ঘুষি মেরে সরিয়ে দেন।

এরপর সেই বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন মেয়র কাদের মির্জা।

স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা লেখেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আপনারা জানেন মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে জনজীবন অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি আমার পৌরসভা থেকে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষদের জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছি। এর আগেও আমি সর্বদা চেষ্টা করতাম, অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে। আমার পৌরসভা ও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ হতে, আমি শুধু কোম্পানীগঞ্জ নয়, কবিরহাট, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, সেনবাগসহ বিভিন্ন জনপদের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করে আসছি। কখনও কোনো মানুষ সাহায্য প্রত্যাশা করে আমার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরে যায়নি।

আজও আমার পৌরসভাতে অসহায় মানুষদের এক হাজারের বেশি শাড়ি-লুঙ্গি, পাঁচশত জনকে নগদ অর্থ ও প্রায় দুই হাজার জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। পৌরসভার ছোট্ট আঙিনায় সহস্রাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে যাওয়ায় দ্রুততার সাথে কাপড় বিতরণ করতে হয়েছিল।

তাই যাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে তাদের দ্রুত চলে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছিল। তখন একজন মানুষ কাপড় পাওয়ার পরও দাঁড়িয়ে থাকায় এবং একাধিকবার বলার পরও সে মাস্ক না লাগানোর কারণে তাকে দ্রুত সরে যাওয়ার জন্য হাত দিয়ে সরানো হচ্ছিল। এখানে তাকে আঘাত করা হয়নি। এ বিষয়ে তিনি কোনো আক্ষেপও করেননি।

সহস্রাধিক মানুষের মাঝে একযোগে এতগুলো ত্রাণ বিতরণ করার সময় অজান্তে কিছু অসাবধানতা হতে পারে, এক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত কোনো কিছু করা হয়নি। আমি সব সময় অসহায় গরিব মানুষের পাশে আছি। কখনও কেউ আমার কাছে সাহায্যের জন্য এসে খালি হাতে ফিরে যায়নি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি যতদিন বেঁচে থাকব অসহায় গরিব মানুষের সেবা করে যাব।

সকলের কাছে প্রত্যাশা রাখব, অন্যের সমালোচনা না করে, যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় গরিব মানুষের সহযোগিতায় হাত বাড়ান। একজনের সমালোচনা না করে মানুষকে সহযোগিতা করুন।’

স্ট্যাটাসের সত্যতা নিশ্চিত করে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মুঠোফোনে বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন ঈদে বিত্তশালী আত্মীয় বা শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপহার না দিয়ে অসহায় ও গরিবদের উপহার প্রদান করতে। এর প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতায় চার হাজার গরিব মানুষের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, খাদ্য ও অর্থ প্রদান করি।’

এ বিভাগের আরো খবর