বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার ডাক্তারের দাদি মারা গেছেন বলে প্রতারণা

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২১ ২২:৪২

এর আগে ২০১৮ সালে কনিকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার অসিৎ ভূষণ দাস মারা গেছেন বলে এক দালাল রোগী নিয়ে গিয়েছিলেন আরেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারের কাছে। পরে জানা যায়, ডাক্তার অসিৎ মারা যাননি।

বরিশাল নগরীতে এক ডাক্তারকে দেখাতে এসে দালালের খপ্পরে পড়েছিলেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাউরিয়া গ্রামের এক নারী। ওই দালাল মিথ্যা বলে তাকে আরেক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষার নামে তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা রেখে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানা-পুলিশের সহায়তায় ওই টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি।

খাদিজা বেগম নামে ওই নারী জানিয়েছেন, গলাচিপা থেকে বরিশাল নগরীর সদর রোডের শুভ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডা. ভাস্কর সাহাকে দেখাতে শনিবার সকালে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে নামেন তিনি। এর পরপরই দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন। এক দালাল তাকে বলেন, ডা. ভাস্কর সাহার দাদি মারা গেছেন। এ জন্য তিনি রোগী দেখতে পারবেন না।

এ কথা বলে ওই দালাল তাকে সদর রোডেরই কাকলি মোড়ে সাউথ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. সুমন্ত কুমারের কাছে নিয়ে যান। তিনি তাকে সাত হাজার টাকার বিভিন্ন টেস্ট দেন। কিন্তু তার কাছে অত টাকা ছিল না। আবার শ্বশুরকেও নিয়ে এসেছেন ডাক্তার দেখাতে। একপর্যায়ে সাউথ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা রেখে দেয় টেস্টের নাম করে।

টাকা রেখে দেয়ায় তিনি কান্নাকাটি করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যান। তারা খাদিজা বেগমকে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলেন।

খাদিজা বেগম আরও জানান, তাকে মিথ্যা বলে যে লোকটি (দালাল) সাউথ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাওনের সঙ্গেই ছিলেন। পরে পুলিশ দেখে পালিয়ে গেছেন।

নিউজবাংলার কাছে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রামের লোক। ধারদেনা করে টাকা এনে ডাক্তার দেখাতে এসে এভাবে হয়রানির শিকার হলে কাকে বিশ্বাস করব? কোথায় যাব? প্রতারকদের উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিত।’

তার এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাউথ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাওন বলেন, ‘রোগীর সব টেস্টের টাকা ফেরত দিয়েছি। কেবল ডাক্তারের ভিজিট রেখেছি।’

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি এবং টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি। দালালকে আটক করার চেষ্টা চলছে।’

এর আগে ২০১৮ সালে কনিকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার অসিৎ ভূষণ দাস মারা গেছেন বলে এক দালাল রোগী নিয়ে গিয়েছিলেন আরেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারের কাছে। পরে জানা যায়, ডাক্তার অসিৎ মারা যাননি।

এ বিভাগের আরো খবর